নিজস্ব প্রতিবেদক:
কালের সাক্ষী হয়ে মাহিগঞ্জের যে সকল পুরার্কীতি আজও কোন রকমে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তার অন্যতম একটি বখতিয়ারী মসজিদ। মসজিদটি মাহিগঞ্জ আফানউল্ল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে ইছামতি নদী ঘেঁষে এবং মাহিগঞ্জ সাতমাথা সড়ক সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। পুরাতন শহর মাহিগঞ্জ থেকে প্রশাসনিক কার্যকলাপ চলে যাওয়ার পর মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়েছে। এখন শুধু কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, গম্বুজ, দেয়াল ফেটে গেছে। যে কোন মুর্হুতে এটি ধসেও যেতে পারে।
জানা যায়, ঘোড়াঘাটের ফৌজদার এবাদত খান ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং বঙ্গ বিজয়ী প্রথম মুসলমান শাসক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ারকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি মসজিদের নাম দেন বখতিয়ারী মসজিদ।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের দলির থেকে জানা যায়, এ মসজিদটি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। মসজিদের উত্তর দক্ষিণে ৩২ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৪ ফুট । জমি থেকে কার্ণিশ পর্যন্ত উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট। ছাদের উপর তিনটি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। সামনে তিনটি প্রবেশপথ। পথগুলোর চারপাশে পোড়া মাটির অলংকার রয়েছে। ভেতরে তিনটি মেহরাব এবং মসজিদ ভবনের চার কোনায় চারটি সুঢৌল স্তম্ভ রয়েছে। এছাড়াও মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দরজার মতই জানালা রয়েছে।
এ ঐতিহাসিক নির্দশন সম্বলিত মসজিদটি অস্তিত্ব আজ বিপন্ন হতে চলেছে। পাশে গড়ে উঠেছে সুইপার কলোনী। ফাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অথচ পুরার্কীতি হিসাবে এ মসজিদটির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার আবেদন জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অতি সম্প্রতি মাহিগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সংরক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট সমাজসেবক আলমগীর হোসেন চৌধুরী জানান, নতুন প্রজন্মের জন্য এসব সংরক্ষণ জরুরী। তাই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আনার জন্য এলাকার মানুষ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।