কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের কাহারোল ৬টি ইউনিয়নে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম নেই। উৎপাদন খরচ উঠছে না আলু চাষিদের। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আলু চাষিরা আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কাহারোল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছে।
কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার আলী জানান, ৩টি প্লটে আলুর ক্রোপ কাটিং করা হয়েছে। গড়ে এসেছে প্রতি হেক্টরে ২৭ মেট্রিক টন আলু। চলতি বছরে উপজেলায় ৬২ হাজার ৬’শ ৯২ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
রোববার সকালে কাহারোল হাটে আড়তে প্রতিমণ দেশী বগুড়া আলু বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা, অপরদিকে কাটিলাল, স্টাডিসসহ অন্যান্য আলু বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা মণ। ডাবর গ্রামের আলু চাষী মানিক জানান, তিনি এবার ৩ একর আলু আবাদ করেছেন, আলু উৎপাদন হয়েছে ভালোই কিন্তু বাজারে দাম কম থাকায় লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে পাহাড়পুর গ্রামের আলু চাষী অনিল কুমার জানান, বর্তমানে বাজারে দাম কম থাকায় আলু আবাদ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কাহারোল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর মোঃ সাদেক বলেন, এবার উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম একটু কম হলেও কিছুদিন আলু রাখলে দাম বেশী পাওয়া যাবে। তাই কৃষকদের জমি থেকে আলু উঠিয়ে বাড়ীতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।