নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ৬জনকে আসামী করে হক গ্রæপের দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছে দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান হক গ্রæপ। মামলার পরেই অভিযান চালিয়ে এক ছাত্রদল নেতাসহ ৩জনকে গ্রেফতার পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ধাপ চিকলীভাটার রওশন মিয়ার ছেলে মাহবুব হোসেন সুমন ওরফে ব্লাক সুমন, মেডিকেল পূর্বগেট এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে ছোট রাসেল (২২) ও তানভীর (২২)। মামলায় মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়নসহ বাকি তিন আসামী পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় শীর্তাতদের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে গত ২৯ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে দেশের খ্যাতনামা শিল্পপ্রতিষ্ঠান হক গ্রæপের চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা রংপুর মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় আসলে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন বøাক সুমন গাড়ির গতি রোধ করে এবং হক গ্রæপের জিএম রাজু আহম্মেদকে মারপিট করে জখম করে। এ সময় রংপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন (৩৮), মোঃ রিপন মিয়া (২৪), মোঃ তানভীর (২২), ছোট রাসেল (২২), পান্ডারদিঘীর আরিফ (৩৫) হক গ্রæপের গাড়ির চালক নীলফামারী ডোমার চৌরঙ্গি বাজারের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনকে গাড়ি থেকে টেনে হেচরে নামিয়ে মেডিকেল পূর্বগেট এলাকার একটি রুমে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এ সময় চালক আলমগীরের কাছে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ছাত্রদল নেতা বøাক সুমন ও যুবদল নেতা নয়ন। অবস্থা বেগতিক দেখে হক গ্রæপের কর্মকর্তারা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে ৩০ নভেম্বর গাড়ি চালক আলমগীর কোতয়ালী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, চাঁদাবাজীর ঘটনায় থানায় মামলা হলে আমরা রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।