দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের দুই উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছে দুই স্বামী। এর মধ্যে কাহারোলে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক স্বামীর এবং নবাবগঞ্জে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্ত্রী। পুলিশ স্বামী হত্যার অভিযোগে দুই স্ত্রীকেই আটক করেছে।
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার নৌধাবাড়ী গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাঁশের লাঠি দিয়ে স্বামী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের (৩২) মাথায় আঘাত করে স্ত্রী ববিতা রানী রায়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু ঘটে। নিহত ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় কাহারোল উপজেলার ৬ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নৌধাবাড়ী গ্রামের সুভাষ চন্দ্র রায়ের পুত্র। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই শুক্রবার দুপুর ১২টার সময় পাশ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলায় বাপের বাড়ীতে পালানোর সময় স্ত্রী ববিতা রানী রায়কে আটক করেছে কাহারোল থানা পুলিশ। কাহারোল থানার ওসি মোঃ ফেরদৌস আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে পরকীয়া প্রেমের জেরে গতরাতে স্বামী চানমিয়া ওরফে চান্দুকে (৪০) ঘুমের ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মরফিয়া খাতুতের বিরুদ্ধে। নিহত স্বামী চান মিয়া ওরফে চান্দু নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মৃত আলেফ উদ্দিনের পুত্র।
স্বজনরা জানান- রাতে স্বামী স্ত্রী একই ঘরে ছিলেন। শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত মরফিয়া বেগমের কান্নাকাটির শব্দে আশেপাশের লোকজন তাদের বাড়ীতে এসে তার শয়নকক্ষে তাকে খাটের মধ্যে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। স্বজনদের দাবি পরকিয়ার জেরে মরফিয়া তার স্বামীকে হত্যা করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান, প্রাথমিক ভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী মরফিয়া বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।