আমাদের বিশ্ব এখন মহামারী করোনাভাইরাসের কবলে। অত্যন্ত মারাত্মক ও ছোঁয়াচে এই রোগটি প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছেন হাজারো প্রাণ। রোগটিকে মোকাবিলা করতে দরকার সচেতনতা ও সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকা। কেননা আমাদের দেশে যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল ছিলো (যেমন ষাটোর্ধ্ব বয়সীরা) তারাই করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছে। এছাড়াও দেশে চলছে গরমের মৌসুম। এ সময়ে সাধারণত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে আপনার শরির। তবে আপনার শরিরে ‘রোগ প্রতিরোধ শক্তি’ থাকলে এসব সাধারণ রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। তাই চলুন জেনে নেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কয়েকটি লক্ষণ এবং সতর্ক হোন এ ব্যাপারে।
ঠাণ্ডার সমস্যা:প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন বলে জানায় চিকিৎসা বিজ্ঞান। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ ব্যবস্থা অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি করতে কাজ করে। এমন হলে বুঝবেন আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাচ্ছেন।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা:করোনাভাইরাসের কারণে নানা ধরনের বাজে বিষয়ের মুখে পরেছি আমরা। এসময় যে কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা হয় আমাদের। তবে দীর্ঘদিন এমন হতে থাকলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে। একারণে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং শরীরে লিম্ফোসাইটগুলি হ্রাস পেতে পারে যা সাধারণত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে সতর্ক হোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
অবসাদ:চলতি রমজান মাসে সেহেরির কারণে এমনিতেই নির্বিছিন্ন ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। তবে রোজাদাররা সাধারণত সেই ঘুমটা পরে সেরে নেন। তবে আপনি যদি রমজানে বা যে কোন সময়ে রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমান তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অনেক ক্ষতির মুখে পরবে। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে আস্তে আস্তে। এবং আপনি আপনার মহা মূল্যবান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন।
রোগমুক্তিতে দেরি হওয়া:একটি দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত নতুন ত্বক তৈরি করতে পারে না, ফলে ক্ষত খুব ধীরে স্বাভাবিক হয়। রোগ প্রতিরোধ হলো স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধক কোষ, যা ত্বকের ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তোলে। প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই আপনার যদি বদহজমের সমস্যা থোকে তাহলে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ঘাটতি আছে।