স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টায় ব্যার্থ নারী

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-25 06:20:23

 

মহানগর প্রতিবেদক:

রংপুরে যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে এক গৃহবধূর দায়ের করা মামলা থেকে ভুক্তভোগী স্বামীকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর জেলা জজ মোঃ রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা দেন।

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া মতিউল হাসান সুমন কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ সারাই বাজার সংলগ্ন হাজীপাড়া গ্রামের মাহামুদার রহমানের ছেলে। ২০১৬ সালে রংপুর নগরীর নিউ শালবন এলাকার মোজাহেদ হোসেন ফুলুর মেয়ে মায়িশা মোজাহিদ তন্নীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিউল হাসান সুমন। তাদের ৫ বছরের  দাম্পত্য জীবনে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এদিকে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে মতিউল হাসান সুমন এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত জেদি প্রকৃতির। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পরিবারের রোষানলে পড়ে আমাকেসহ আমার পরিবারকে যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের হয়রানিমূলক অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ২৭ মে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আমিসহ আমার পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে জামিন নিতে হয়।

তিনি আরো বলেন, যদিও ওই মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রতিয়মান করলেও আমার স্ত্রী পুনারায় আপিল বিভাগে নতুন করে তদন্তের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে সেই মামলাটি নতুন করে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের তদন্তেও আমার এবং পরিবারের উপর আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রতীয়মান করেন পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী সুমনের পিতা মাহামুদার রহমান বলেন, আমার পুত্রবধু রংপুর শহরের মধ্যে একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। অনেক আশা নিয়ে ওই ঘরে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। অথচ সেই গৃহবধূ ছেলেকেসহ আমাদের পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হেয় করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে জেলের ভাত খাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সত্য কোনদিন ঢাকা থাকে না,দেরিতে হলেও সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী রফিক হাসনাইন। তিনি বলেন, বাদী নারী নির্যাতন আইনে যে মামলাটি করেছিলেন তা দুই দফায় তদন্তে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। তদন্তে বাদীর এজাহারের যে বর্ণনা তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা বলে উঠে আসে।

বাদী নগরীর একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় মামলাটি দায়ের করতে সুবিধা নেন। তবে তদন্ত শেষে আদালত ওই মামলা থেকে বিবাদীদের অব্যাহিত প্রদান করেছেন। এখন মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করার কারণে বিবাদীরা চাইলে বাদী মাযিশা মোজাহিদ তন্নীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।