পীরগঞ্জে কৃষকদের বন্ধু হয়ে পাশে দাড়িয়েছে বরেন্দ্র কতৃপক্ষ

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-23 19:53:40

আজাদুল ইসলাম আজাদ পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি:

রংপুরের পীরগঞ্জে ৩ টি ইউনিয়নে হাজার হাজার কৃষক জলাবদ্ধতায় মুক্তি পাচ্ছে। শান নদী এলাকার কৃষকদের বছরের পর বছর শোনার ফসল উৎপাদনের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জল। জলাবদ্ধতা দূরীকরণর লক্ষ্যে মানুষের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে বরেন্দ্র কতৃপক্ষ।

স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলার প্রবাহমান শান নদী কতিপয়  দখলদারিরা অবৈধভাবে মাটি ভরাট করেছিল, যে কারনে  চলমান শান নদী মরা নদীর রুপ নিয়েছিল। শানেরহাট, পাঁচগাছি এবং মিঠিপুর ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ কৃষি চাষাবাদ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। আবাদ মৌসুমের ধান এবং সবজি  প্রতিবছর পানির নিচে তলিয়ে থাকতো। যে কারনে এলাকার কৃষক শোনার ফসল উৎপাদন করতে না পেরে দিনদিন কর্মহীন হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মের সন্ধানে ছুটে বেড়াতো । শান নদী খননের ফলে কৃষক আগের মতো করে কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারছে।

পার্বতীপুর গ্রামের কৃষক রিজু মিয়া,মোসলেম, আশরাফুল, বাদশা ও মেহেদুল ইসলাম বলেন, ৩ ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক আবাদি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকতো। আবাদ মৌসুমে  নিচু জমিতে ফসলের চাষ করে কৃষক খালি হাতে বাড়িতে ফিরেছিলেন। ফসল না পেয়ে এলাকার মানুষ হতাশ হয়ে পরেছিলেন। মরা নদী খননের ফলে নদী যেমন তার প্রাণ ফিরে পেল তেমনি কৃষকদের হতাশাও দূর হয়ে গেলো। ৩ ইউনিয়নের মানুষের মুখে আনন্দ বইছে।

পাঁচগাছি ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, শানেরহাট এলাকার নদী খননের কাজ শেষ হয়েছে, অই এলাকার কৃষক মনের আনন্দে কৃষি চাষাবাদ করছে। আমাদের ইউনিয়নের নদীটি খনন কাজ শেষ করা হলে সবার দুর্ভোগ কমবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ ( বিএমডিএ) পীরগঞ্জ জোন সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেন, পীরগঞ্জ উপজেলার শান নদী মরা নদীর রুপ নিয়েছিল। এতে করে ৩ টি ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। অই এলাকার কৃষকের দূরাবস্থা দেখে বিএমডিএ নদী খনন কাজ হাতে নেয়। ইতিমধ্যে প্রায়  ৬ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ শেষ হয়েছে। আগামী অর্থ বছরের তারা অবশিষ্ট নদীর খনন কাজ শেষ করবেন বলে তিনি জানান।