ডোমারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের স্বপ্নপূরণ, উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-21 14:37:28

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার:

লফামারীর ডোমার উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকায় ২০২২/২৩ অর্থবছরে ব্যাপকহারে সরিষার চাষ করা হয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অপরদিকে উৎপাদনেরও লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রোপা আমন ধান কর্তনের পর থেকে বোরো চারা রোপনের আগ পর্যন্ত এই ৩ মাস সময়টুকু সরিষা চাষের উপযুক্ত সময়। গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ডোমার উপজেলায় সরিষার চাষ প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।পাশাপাশি এবছর সরিষার ফলনও বাম্পার হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে যে জমিগুলোতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে সেই চাষের জমিগুলিতে ইতিপুর্বে ব্যাপক হারে তামাক আবাদ হয়েছিল যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর, কিন্তু বর্তমানে এই উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান যোগদানের পর থেকে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কৃষকদের মাঝে বিশেষ প্রণোদনার আওতায় সরিষার বীজ বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরন করে তামাক আবাদ বাদ দিয়ে সরিষা চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ সহ নানা রকম সভা সমাবেশ চালিয়ে আসছেন।যার ফলে চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় তামাকের আবাদ গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রায় চার ভাগের একভাগে নেমে এসেছে। এছাড়াও স্বল্পব্যয়ে দিগুন লাভ হওয়ায় সরিষা চাষের প্রতি মনোনিবেশ প্রদর্শন পূর্বক সরিষা আবাদের উপর ঝুকে পরেছেন এই উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক কৃষক জানিয়েছেন সরিষা আবাদে খরচ অনেক কম পাশাপাশি দামও অনেক বেশি এজন্য আমরা এবারে তামাক আবাদ বর্জন করে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সরিষা আবাদ করেছি। বর্তমানে যে পরিমাণ সরিষা ফলন ধরেছে তাতে করে আমরা ভীষণ খুশি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক আগামী তিন বছরের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ তেলের আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। এবং বর্তমানে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের জন্য ১ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করলে ১টি পরিবারের ৪ জন সদস্যের ১ বছরের তেলের চাহিদা পূরণ হবে।এছাড়াও এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০২২/২৩ইং অর্থ বছরে সরিষা চাষ হয়েছে প্রায় ৭শত ৬০ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় দ্বীগুন এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯শত ৫০ মেট্রিকটন থাকলে ও তা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।