কিশোরগঞ্জে  বিদ্যালয়ের  ভুয়া সভাপতি  নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-21 07:43:44

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে গন অভিযোগ দায়ের করেছেন দু‘জন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ ২২২জন অভিভাবক দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ।  

অভিযোগে জানা যায়, ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী লিজা আক্তারের প্রকৃত অভিভাবক লাবলু মিয়া। তাকে বাদ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভুয়া জন্মসনদের মাধ্যমে নাজমুল ইসলামকে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয় । প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে আতাত করে নির্বাচনের পরিবর্তে গোপনে সিলেকশনের মাধ্যমে ভুয়া অভিভাবক সদস্য নাজমুলকে সভাপতি বানিয়ে প্রধান শিক্ষক ১০ সদস্যের কমিটির অনুমোদন নেন।

 মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া প্রত্যয়নপত্রে লিজা আক্তারের প্রকৃত অভিভাবক লাবলু মিয়া। এছাড়া বিদ্যালয়ে দাখিলকৃত জন্মসনদ অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১০। কিন্তু বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আব্দুল মজিদ ছোটোর  মেয়েকে দিয়ে নাজমুল ইসলামের বিয়ে হয় ২৯ আগষ্ট ২০১১ তারিখে। মজার বিষয় হচ্ছে নাজমুলের বিয়ের  ১বছর ৪মাস ১৫ দিন আগে লিজা আক্তারের জম্ম হয় । ওই সন্তানের অভিভাবক সেজে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। এতে বোঝা যায় নাজমুল ইসলাম লিজা আক্তারের প্রকৃত পিতা নয়।

বিদ্যালয়ে প্রভাব প্রতিপত্তি  ধরে রাখার জন্য  আব্দুল মজিদ ছোট   দাতা সদস্য হয়ে পর পর ৩বার সভাপতি হন। বিধি অনুয়ায়ী ৪র্থ বার  সভাপতি হতে না পারায়  প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তার জামাতা নাজমুল ইসলামকে ভুয়া অভিভাবক বানিয়ে সভাপতি করেন। গত জানুয়ারী মাসে বিদ্যালয়ের আয়া, নৈশ্য প্রহরী ও অফিস সহায়ক পদে ৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও দাতা সদস্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ।

এ ব্যাপারে সিঙ্গেরগাড়– উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জন্ম সনদ অনুযায়ী লিজা আক্তারের অভিভাবক বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। প্রকৃত অভিভাবক কিনা সেটা আমি জানি না। পরিকল্পিতভাবে কারসাজির বিষয়টি তিনি  আংশিক স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন।

ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি লিজা আক্তারকে তার মেয়ে বলে দাবি করেন। কিন্তু তার বিয়ের প্রায় ১বছর ৪মাস ১৫ দিন  আগে শিক্ষার্থী লিজা আক্তারের জন্মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিয়ের কাবিন আপনার কাছে থাকলে হটসঅ্যাপে পাঠায় দেন তার পর এ বিষয়ে কথা বলব। এ ব্যাপারে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যোন অধ্যাপক মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে  যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।