কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসী মামলায় জেলা জামায়াতের আমীরসহ ১১ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণ

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-18 11:30:53

কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামে পুলিশের দায়েরকৃত নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত ১২ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর মধ্যে একজনকে জামিন প্রদান করে জেলা আমীরসহ ১১জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কুড়িগ্রামের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা আদালত। সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীরের আদালতে এ আদেশ প্রদান করা হয়।

আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশদেন জেলা জামায়াতের আমীর মো. আব্দুল মতিন ফারুকীসহ জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা মো. আব্দুল হাই, মো. আইয়ুব আলী, মো. আব্দুল হক, মো. শাকিব জামান, মো. আব্দুর সবুর, মো. আব্দুল ওয়াব মাস্টার, নুর মোহাম্মদ, নুর ইসলাম, মো. আব্দুল আউয়াল ও মো. কফিল উদ্দিন। একই মামলায় আদালত জামিন প্রদান করেন কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা জামায়াতের রোকন সদস্য এডভোকেট ইয়াসিন আলী কে।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রামে সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ^রী পেট্রোল পাম্প এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আড়াই শতাধিক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী লাঠি ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী মিছিল ও শ্লোগান প্রদান, সড়ক অবরোধ, ক্ষতিসাধন, পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ী ভাঙচুরসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এরই অভিযোগে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো আড়াইশ’ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। পরে এজাহারভুক্ত ১২ আসামীর আবেদনের প্রেক্ষিতে  মহামান্য হাইকোর্ট আসামীদের ৬ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন প্রদান করেন গত ৪ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে। যা গত ১৫ ফেব্রæয়ারি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে অভিযুক্তরা সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত একজনকে জামিন প্রদান করে বাকী ১১জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সেই সঙ্গে আদালত ফৌজদারী মিসকেসটির নিষ্পত্তি প্রদান করেন।

আদালতে আসামী এডভোকেট ইয়াসিন আলীর পক্ষে পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট আজিজুল হক দুলু এবং অপর ১১জন আসামীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট তাজুল ইসলাম, এডভোকেট বজলুর রশীদ, এডভোকেট নয়নসহ আরো ২০/২২জন আইনজীবী। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন।