মিঠাপুকুরে শাশুড়িকে হত্যা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-18 12:20:06

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:

মিঠাপুকুরে গৃহবধুর বিরুদ্ধে শাশুড়িকে হত্যা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে ভবণে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ব্যক্তির পুত্ররা। তারা সম্পত্তি আত্মসাৎ ও হত্যার অভিযোগে বিধবা ভাবির শাস্তির দাবি করেন। এছাড়াও রংপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী বন্দর এলাকার এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শফিউল ইসলাম, রাশেদুল হক, মোমেন পারভেজ, সামছুজ্জামান মোস্তফা ও তাদের স্ত্রী-সন্তান।

লিখিত বক্তব্যে নিহত ব্যক্তির ছেলেরা বলেন, আমরা ৫ ভাই, এক বোন। এরমধ্যে বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বিজু দির্ঘদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বিধবা স্ত্রী নাজমিন আরা বেগমসহ আমাদের মা সামসুন্নাহার বেগম একত্রে শঠিবাড়ী বন্দর এলাকায় বসবাস করতো। আমরা ব্যবসা ও চাকুরি সুবাদে এলাকার বাহিরে অবস্থান করি। এরই সুযোগে বড় ভাইয়ের বিধাব স্ত্রী নাজমিন আরা বেগম শঠিবাড়ী বন্দর এলাকার এক একর ১২ শতক সম্পত্তি ও প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি আমার টের পেলে মায়ের কাছে জানতে চাই। এ নিয়ে একটি পারিবারিক শালিস বৈঠক বসার কথা ছিল। ওই শালিস বৈঠকের আগে আমরা জানতে পারি- আমাদের মা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার এসে লাশের নাকে-মুখে রক্ত দেখতে পাই। স্বাভাবিকভাবে লাশের দাফন সম্পন্ন করি।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর সকল সম্পত্তি ও ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা নিয়ে উধাও হন বিধবা ভাবি নাজমিন আরা বেগম। খোঁজ-খবর করে ও দালিলিক কাগজপত্র উত্তোলনের পর আমরা বিষয়টি সর্ম্পকে পরিস্কার ধারনা পাই। নাজমিন আরা বেগম আমাদের মায়ের নামে থাকা সকল সম্পত্তি সাব কবলা এবং ব্যাংকে গচ্ছিত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তির ছেলে শফিউল ইসলাম দাবি করেন বলেন, আমাদের মায়ের সকল সম্পত্তি নিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাকে সহযোগীতা করেছে ডা. রন্জু মিয়া, নাসিরুল ইসলাম, শাহিন মাস্টার ও খায়রুজ্জামান। খায়রুজ্জামান বিধবা ভাবি নাজমিন আরা বেগমের মামা ও মিঠপুকুর সাব-রেজিস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনিই মুলত. সম্পত্তিগুলো আত্মসাতের মুল হোতা। তারা আরও বলেন, আমরা এখন অসহায়। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও বাড়িঘরগুলো নিয়ে ফেলেছে বিধবা ভাবি। আমার প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।

এ ঘটনায় রংপুর আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী করা হয়েছে নাজমিন আরা বেগম, ডা. রন্জু মিয়া, নাসিরুল ইসলাম ও শাহিন মাস্টারকে। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শুনেছি, আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তের জন্য মিঠাপুকুর থানায় এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্ত নাজমিন আরা বেগম বলেন, আমার শাশুড়ি আমাকে সকল কিছু লিখে দিয়েছেন। তার মৃত্যুর জন্য আমি দোষী নই।