পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে উন্নতি হয়েছে মানুষের জীবনমান

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-21 06:34:10

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সরকারি জমিসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি বাসগৃহ পেয়ে হাসি ফুটেছে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে। একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে বন্দোবস্তকৃত খাঁস জমির কবুলিয়তসহ সরকারি খরচে নির্মিত সেমিপাকা বাসগৃহ পেয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দের হাওয়া বইছে সুবিধাভোগীদের।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাযায়, বর্তমান নির্বাহী অফিসার পীরগঞ্জে যোগদানের পর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ৪৯০ টি  ক শ্রেণির  ঘর নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জায়গা বরাদ্দ থেকে শুরু করে, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা, পুকুর, ঘাট, মসজিদ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসন কাজের মান ভালোর জন্য সবসময়ই নির্মানকৃত ঘর গুলো দেখভাল করছেন।

রোববার সরেজমিনে আশ্রয়ণ কেন্দ্র  গিয়ে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন বসবাসকারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঘরের সাথে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে তারা এখন ভীষণ খুশি। বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আনন্দে  সুবিধাভোগীরা। তাদের অনেকেরই কাছে এরকম একটি ঘরের মালিক হওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। অবশেষে তাদের এ স্বপ্ন পুরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা হওয়ায় খুশি দারিদ্রপীড়িত জনপদের ভূমিহীন ও গৃহহীনরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ খুলে দোয়াও করছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে লেখাপড়া করছে।

বগের বাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা তবারক আলী ও শমসের পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া জয়েদ আলী, আজাদ আলি, নূরজাহান, কুলছুম বেগম, নাজমা ও সিমা বেগম বলেন, আমরা খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছে । এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ তার সম্মান আরও বাড়িয়ে দিন। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমারা জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। দোয়া করি শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উপজেলা নীর্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায় কে। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন। তাদের চোখে মুখে এখন খুশির আনন্দ বইছে।

এছাড়াও চৈত্রকোল মাহালী পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বিধবা তেরেজা মার্ডী বলেন, বাঁশ শিল্পের কাজ করে আমার সংসার চলে, স্বমী মারা যাবার পর থেকে নাতি নাতনি কে নিয়ে ভাঙা একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছিলাম। বর্ষা মৌসুমে সেই ঘরে পলিথিন গায়ে দিয়ে শুয়ে-বসে থাকতে হতো। এখন আমি সরকারি ঘর পেয়েছে মহা আনন্দে দিন কাটছে।

এ বিষয়ে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সহ চতরা ইউপি  চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রায় প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি খরচে মাথা গোজার মতো নুন্যতম একটি করে আশ্রয়স্থল গড়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন। তার এ উদ্যোগ বিশ্বে বিরল হয়ে থাকবে।  প্রকৃত ভূমিহীন বাছাইয়ের সুবিধার্থে স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগীতা করে আসছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ৪৯০ টি গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বাসগৃহের নির্মাণ শেষে সুষ্ঠুভাবে ঘরের দলিল হস্তান্তর ও চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে । ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই ভূমিহীন বা কারও বাড়িতে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পওয়ায় জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হবে। এছাড়াও ভুক্তভোগীরা সামাজিক মর্যাদা পেয়ে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। তাদের জন্য সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তিতে এবং পেতে শুরু করেছে ঋণ সহায়তা। সবমিলিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ হবে।