ফুলবাড়ীতে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে সংঘর্ষ আহত-১০

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-25 15:55:02

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নবম শ্রেনির ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই ছাত্রীর বাবাসহ ১০জন মারাত্বক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধায় উপজেলার ভাঙামোড়ের রাবাইতারী বসুনিয়া টারী গ্রামে। আহতদের ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উভয় পক্ষের তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার সাইফুর রহমান সরকারী মহাবিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র হাছেন আলীর ছেলে রনি আহমেদ গত ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে একই এলাকার রাবাইতারী বহুমমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী অকিল চন্দ্র সরকারের মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ফুল ও আপত্তিকর লেখা দিয়ে প্রায়ই অশালীন অঙ্গভঙ্গিসহ উত্ত্যক্ত করত। এরই সুযোগ নিয়ে শনিবার বিকালে ওই ছাত্রী প্রাইভেট শেষে বাড়ী ফেরার পথে তাকে জোরপূর্বক রাস্তার পাশে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে বখাটে রনি। ছাত্রীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন সেখানে ছুটে আসলে রনির চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে বিষয়টি বাবা অকিল চন্দ্র সরকার ও ভাই শুভাশীষ সরকার উত্ত্যক্তকারী রনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাৎক্ষনিকভাবে রখাটে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীর বাবা ও ভাইকে মারপিট শুরু করলে উভয় পক্ষে বাঁধে। সংঘর্ষে যোগ দেয় দু’পক্ষের লোকজন। এসময় উভয় পক্ষের ছাত্রীর বাবা অকিল চন্দ্র সরকার (৪৬)সহ ভাই সুভাশীষ চন্দ্র সরকার (২৫),স্বজন মুকুল চন্দ্র সরকার (৩৯),সুনীল চন্দ্র সরকার (৫১) ও সতীর্থ কর্মকার (২৫),বখাটে রনি (২০),হাছেন আলী (৪৮), শমসের আলী (৫২), হুমায়ুন আহমেদ (২৩) ও জনি আলম (২০)।

ছাত্রীর বাবা অকিল চন্দ্র জানান, রনি আমার মেয়েকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো। তার উত্ত্যক্তের কারনে আমার মেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে। আমরা শুধু উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু রনি ও তার লোকজন দ্রæত আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমি থানায় মামলা করেছি।

উত্ত্যক্তকারী রনির দাবি তিনি ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করেননি। প্রতিবেশি বোন হিসেবে ২১ ফেব্রæয়ারীর দিন তাকে ফুল উপহার দিয়েছিলেন। মেয়েটির পরিবারের লোকজন কোন কিছু যাছাই বাচাই না করেই আমার ওপর হামলা করে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, শনিবার ছাত্রীর বাবা বাদী ৫ জনের বিরুদ্ধে নারী-শিশু আইন ও পেনালকোর্ড আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলা নং -১৪।