সৌদি-ইরান সম্পর্কে ইসরায়েলের কপালে চিন্তার ভাঁজ

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-26 02:40:40

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃরুদ্ধারে স্বাক্ষরিত চুক্তি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।  ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানকে বাকী বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সৌদি-ইরানের নতুন চুক্তি সেই প্রচেষ্টাকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সাত বছরের বৈরিতার পর সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। দুই দেশই পুনরায় দূতাবাস চালু করার কথা শুক্রবার জানিয়েছে। এই বৈরিতা অবসানে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে চীন।

বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের জন্য আরও চাপের ও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, নেতানিয়াহু সরকারের যখন আরব অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের জন্য আরও ফাঁকা ময়দান প্রয়োজন, ঠিক তখনই চীনের মধ্যস্থতায় শীর্ষ সুন্নি ও শিয়া মুসলিম দুই দেশের মধ্যকার চুক্তিটি সমর্থনের মাধ্যমে বেইজিংকে মধ্যপ্রাচ্যে জায়গা করে দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

নেতানিয়াহুর অধীনে কাজ করা সাবেক সামরিক গোয়েন্দা প্রধান আমোস ইয়াদলিন বলেছেন, সৌদি-ইরানের নতুন সম্পর্ক ইসরায়েল সরকারের জন্য সজাগ হওয়ার আহ্বান।

ইয়াডলিন টুইটারে বলেছেন, ‘বিচারিক ব্যবস্থা সংশোধনের উপর সরকারের মনোযোগ, যা জাতিকে বিচ্ছিন্ন করে ইসরায়েলকে সব মাত্রায় দুর্বল করে দিচ্ছে, এবং নেতানিয়াহু সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে প্রমাণ করছে।’

তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহুর উচিত কীভাবে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক তৈরি করা যায় এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কীভাবে যৌথভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়া।

তবে পুরো পরিস্থিতি এখনও ইসরায়েল-আরব শান্তি চুক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং ইসরায়েলের অভিভাবক ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করছে। ইরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন সামরিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিলে তা প্রতিপালনে এক মুহূর্তও দেরি করবে না ইসরায়েল।

ওয়াশিংটনের ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের প্রধান নির্বাহী মার্ক ডুবোভিটজ বলেছেন, ‘এটি সৌদি-আমেরিকান এবং সৌদি-ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত করতে চীন ও ইরানের একটি চমৎকার ধাক্কা । এটি তেহরানকে ম্রিয়মাণ পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে সাহায্য করবে এবং ইরানকে মোকাবিলা করার জন্য একটি আঞ্চলিক জোট গঠনের জন্য আমেরিকা ও ইসরায়েলের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে। কারণ ইরান এখন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির শেষ ধাপে রয়েছে।’