হিলিতে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-15 19:45:47

হিলি প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। ওই নবজাতকের বয়স সাড়ে ৩ মাস। তার নাম মাহির বাবু। হাকিমপুর উপজেলার রাকিবুল ও শর্মিলা আক্তার দম্পত্তির প্রথম ছেলে সন্তান।

এদিকে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর খবর ছড়িলে পড়লে নবজাতকের স্বজন ও আশে-পাশের লোকজনেরা হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চিকিৎসক ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হলে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এসময় সাংবাদিকরা এই তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মশিউর রহমান।

নবজাতকের দাদা তাছির উদ্দীন বাপ্পী জানান, দুপুরের দিকে রাহাদ বাবু অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারী মাহির বাবুকে চিকিৎসা না দিয়ে ভর্তির জন্য ২য় তলা মহিলা ওয়ার্ডে পাঠাই। আমরা মাহির বাবুকে নিয়ে মহিলা ওয়ার্ডে গেলে সেখানে কর্তব্যরত নার্স বলে বাচ্চার বয়স লেখা ভুল হয়েছে। সাড়ে ৩ মাস না লিখে সাড়ে ৩ বছর লেখা হয়েছে। সংশোধন করে আনেন। আমরা আবার বাচ্চাকে নিয়ে নিচ তলায় জরুরী বিভাগে আসলে তখন মেডিকেল অফিসারকে পায়। এসময় তাকে দেখালে তিনি বলেন বাচ্চার কন্ডিশন ভালো না। আপনারা বাইরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এসময় আরেক মেডিকেল অফিসার বাচ্চাকে দেখে বলে অনেক আগেই মারা গেছে।

তাছির উদ্দীন আরও জানান, চিকিৎসা না দিয়ে চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ১ ঘন্টা ধরে এই নাটক করা হয়েছে। চিকিৎসা না পেয়ে আমার নাতী মাহির বাবু মারা গেছে। আমরা তদন্তের মাধ্যমে চিকিৎসকের শাস্তি দাবী করছি।

রাহিদ বাবুর মা শর্মিলা আক্তার বলেন, আমার প্রথম সন্তান। আমার সন্তান দুপুরেও ভাল ছিলো। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তারের চিকিৎসা পাইনি। সময় মত চিকিৎসা পেলে আমার সন্তান মারা যেতো না। ডাক্তারের অবহেলায় আমার বুকের ধন মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, দুপুর আড়াইটায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু শিশু যদি না টেকে তাহলে আমাদের কি করার আছে। তবে চিকিৎসকের অবহেলা বা চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর- এ আলম বলেন, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য এখানে এসেছি।