পীরগঞ্জে কাঁচা সড়কে বেহাল দশা স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-10 21:50:07

আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:  

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাঁচা গ্রামীণ জনপদের বেহাল দশা  পথচারীদের ভোগান্তি। স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা ধুলাবালু পথে  প্রতিদিন যাতায়াতের কারছে। ফলে শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও পড়ছে। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তা পাকা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর ইসমাইলের বাড়ি থেকে পদুঘাট নতুন ব্রিজ পর্যন্ত হাফ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন প্রায় ২-৩ হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া ছোট-বড় ও মাঝারিসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহনও এ পথে চলাচল করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রামনাথপুর ইউনিয়নের হাফ কিলোমিটার  কাঁচা রাস্তাটিতে অনেকগুলো ছোট এবং বড় গর্ত থাকার কারণে মানুষকে জুতা খুলে পথ চলতে হয়। তাছাড়া সিএনজি, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, ভ্যানসহ চলাচলকারী যানবাহনগুলো প্রায় সময়েই উল্টে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর ও কাবিলপুর ইউনিয়নের কৃষ্টুপুর  পদুঘাট পর্যন্ত এই রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরো জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, হাসপাতাল, কলেজসহ ছাত্র-ছাত্রী বর্ষাকালে পিচ্ছিল এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। ফলে চেরাগপুর, জামদানী, দারিয়াপুর,বড় করিমপুর, কৃষ্টুপুর, সরলিয়া, বেতকাপা,জামালপুর,জয়পুর গ্রামসহ কাবিলপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা বলছেন , শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালীর কারণে পরনের পোশাক প্রতিদিন পরিস্কার করতে হয়। মুখে মাক্স পড়িয়ে এ পথে যাতায়াত করতে হয়।  বর্ষা মৌসুমেও কাদা মাটি পরনের জামায় লেগে থাকে। যে কারনে স্কুলের ড্রেস ২/৩ টি করে  প্রয়োজন হয়। এদের  মধ্যে অনেকেই ১ টির করে স্কুল সেট রয়েছে। কোমলমতি শিশুরা তারাতাড়ি রাস্তাটি পাকা করনের দাবি জানান।

কৃষ্টুপুর  গ্রমের জহুরুল হোসেন বলেন, উপজেলা সদরে যোগাব্যবস্থা জোরদারে জন্য মজবুত একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। হাফ কিলোমিটার রাস্তা পাকা না হওয়া পর্যন্ত এলাকার লোকজন এই উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না। এজন্য তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্য উপজেলা সদরের  বাজারজাত করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, কাবিলপুর  ইউনিয়নিয়ন বাসির উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র সোজা এবং সহজ এই রাস্তাটি। কাবিলপুর থেকে উপজেলা প্রায় দশ ১০ কিলোমিটার পথ  । সেখানে অতিরিক্ত ৭/৮ কিলোমিটার পথ হয়রানি হয়ে উপজেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। এতে করে অনেক মানুষের সময়ের ঘাটতি হচ্ছে। এছাড়াও  স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা ধুলাবালির বর্ষা মৌসুমে কাঁদা মাটির মধ্যে যাতায়াত করছে।

রামনাথপুর ইউপি  চেয়ারম্যান ছাদের মাষ্টারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ রাস্তাটি পাকা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে রাস্তাটি অতি তারাতাড়ি পাকা করা দরকার।