গঙ্গাচড়ায় এক কিশোরীর আত্মহত্যা

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-18 03:07:32

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হাসি মনি (১৫) নামে এক কিশোরী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে খবর পাওয়া গেছে। হাসিমনি গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়াগ্রামের হাবিবুর রহমান ও শরিফা বেগম দম্পতির মেয়ে ও গঙ্গাচড়া হাজী দেলোয়ার হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। দুই ভাইবোনের মধ্যে হাসি মণি বড়। হাবিবুর রহমান মালদ্বীপপ্রবাসী। সাত বছর ধরে তিনি সেখানে আছেন। দুই সন্তান নিয়ে শরিফা বেগম গ্রামে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার স্থানীয়রা জুম্মার নামাজ পড়ে আসার সময় প্রবাসী হাবিবুর রহমানের বাড়িতে চিল্লাচিল্লি শুনতে পেয়ে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন হাবিবুরের মেয়ে আঙিনায় পড়ে আছে পাশে মেয়েটির মা বসে কান্না করছে। ‘আত্মহত্যা’র বিষয়টি জানার পর এলাকাবাসী লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মৃত্যু হাসি মনির ছোট ভাই সজিব বলেন, আমি মসজিদে ছিলাম। বাড়ি এসে দেখি আপু ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো। পরে পাশের বাড়ির চাচা-চাচীরা এসে মই দিয়ে আপুর লাশ নিচে নামায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক জানান, হাসিমনি নামের ওই মেয়েটির সঙ্গে অনেক দিন ধরে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কথিত প্রেমিক মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনেক টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ছেলেটি মেয়েটির বাড়িতে আসার কথা বলে মেয়ের কাছ থেকে আরো ৬ হাজার টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে বাড়ির লোকজন বাইরে কাজ করতে গেলে মেয়েটি ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

মৃত্যুর আগে হাসিমনি একটি চিরকুট লিখে গেছে। চিরকুটটি এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই চিরকুটে এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্কের কথা লেখা রয়েছে।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত এ ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার করা চিরকুটে লেখার মূল কথা হচ্ছে, মেয়েটির সঙ্গে এক ছেলের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন কারণে ছেলেটির প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। চিরকুটের লেখা মৃত হাসি মণির কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।