রংপুরে রোদ-গরম, স্বাভাবিকের অর্ধেক বৃষ্টিপাত

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-18 09:25:45

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে এবারে এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এপ্রিল কেটেছে প্রচণ্ড গরম সাথে খটখটে রোদে। এক বছরের ব্যবধানে একই সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে ১৪০ মিলিমিটারের বেশি। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তন, জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়া, দক্ষিণা বাতাসের সাথে জলীয় বাষ্প না আসা, গাছপালা কমে যাওয়া, কালবৈশাখী ঝড় না হওয়ায় প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃতিতে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখি ও ফসলে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলে রংপুর অঞ্চলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ৮০ থেকে ৯০ মিলিমিটার। সেখানে গত এক মাসে বৃষ্টি হয়েছে ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের অর্ধেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। অপরদিকে গত বছরের এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। গত বছর এপ্রিলে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৭৯ মিলিমিটার। ওই মাসে গড়ে ১৫ দিন বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এবারে মাত্র দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গত বছরের এপ্রিলে রংপুরে ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা উঠেছিল।

গত বছর শুধু অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতই নয়, দুবার ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে রংপুর অঞ্চলে। এবার ঝড়-বৃষ্টির দেখা নেই বললইে চলে। এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় খরতাপের কারণে অনেক স্থানের বোরো চাষিদের সেচ দিয়ে ফসল রক্ষা করতে হয়েছে। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদী ও জলাধার শুকিয়ে যাওয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন হওয়ায় আবহাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানা কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।