কিশোরগঞ্জে ব্রীজ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-25 15:53:54

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী হতে বড়ভিটা অভিমুখী রাস্তার ভাঙ্গায় গার্ডার ব্রীজ নির্মানে নিম্নমানেরউপকরন ব্যাবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা মরাপাথর নিম্নমানের বালু ও মরিচা ধরা পরিত্যাক্ত রড দিয়ে ব্রীজ নির্মানে নিষেধ করলে তাদের চাঁদাবাজীর মামলায় ঝুলানোর হুমকি দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকজন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ২০২১-২২ অর্থবচরে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ দশমিক ২০০ মিটার প্রস্থের গার্ডার ব্রীজ নির্মানে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৮ লাখ ১৫ হাজার ৩২৭ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তদারকিতে কাজটি করছেন জলঢাকা উপজেলার নির্মান প্রতিষ্টান  মেসার্স সূচী এন্টার প্রাইজ।

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা জাতীয় পার্টির পুটিমারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল জলিল, ইলিয়াস হোসেন, মোরছালিন মিয়াসহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্টান মরাপাথর নিম্নমানেরবালু, ও দীর্ঘদিনে পরে থাকা মরিচাধরা রডদিয়ে ব্রীজ নির্মান কাজ করছে। আমরা নিম্নমানেরসামগ্রী দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকজন চাঁদাবাজির মামলার ভয় দেখায়। ব্রীজের বেজ ঢালাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকার সুবাধে ঠিকাদার সঠিক ভাবে ঢালাইয়ের উপকরন না দিয়ে যেনতেন ভাবে ঢালাইকাজ সম্পন্ন করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ওই দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলে ব্রীজ নির্মান কাজ একমাস বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই আবারো ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।

এ বিষয়ে ব্রীজ নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশৈলী জামাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাজ বাস্তবায়ন করা আমার দায়িত্ব নয় এটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব। আমাকে তদারকি দায়িত্বে রাখা হয়েছে আমি শুধু দায়িত্ব পালন করছি । অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক সাবের হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কাজের ক্ষেত্রে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। কাজ বাস্তবায়নের সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন সেখানে উপস্থিত থেকে কাজ বুঝে নেয়।

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  রাশেদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মান কাজের বিষয়ে আমার কাছে এখানো কোন অনিয়মের অভিযোগ আসেনি। অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে অব্যশই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।