বিরলে অপহৃতা উদ্ধারের ৩ দিনের মধ্যে মূল অপহরণকারী সায়েমকে আটক করেছে পুলিশ

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-28 01:28:55

আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):

বিরলে অপহরণ মামলার ভিকটিম (অপহৃতা) এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উদ্ধারের ৩ দিনের মধ্যে মূল অপহরণকারী সায়েমকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অপহৃতার পিতা বাদি হয়ে বিরল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে ঐদিনই অপহৃতাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বেলাল হোসেন জানান, জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান এর তত্বাবধায়নে গত ৭ মে অপহরণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী সবুজার রহমান সায়েম (১৮) কে ১০ মে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিরল-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহসড়কের বিরল পৌরশহরের ঢেলপীর নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মূল অপহরণকারী রাজধানী ঢাকা ঢাকা’র উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানান।

বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের রামপুর মোল্লাপাড়ার গ্রামের মোজাহারুল ইসলাম ওরফে মোজাহার এর ছেলে অপহরণকারী সবুজার রহমান সায়েম (১৮) একই উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের মির্জাপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের কিশোরী কন্যা এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে গত ৭ মে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় ০৪ নং মামলা রুজু হয়। 

অধহৃতার পিতার দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে অপহরণকারী সায়েম তাঁর মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ৩ মে সকাল সোয়া ৯ টার দিকে মা-মেয়ে ভ্যানযোগে বিরল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে। পরীক্ষা শেষে মা-মেয়ে ওই ভ্যানগাড়ীযোগে বাড়ী ফেরার পথিমধ্যে দুপুর আনুমানিক সোয়া ১ টার সময় বিরল পৌলশহরের চকভবানী জোড়কালী নামক এলাকায় পৌঁছামাত্রই সবুজার রহমান সায়েম তাঁর সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন তাদের পথরোধ করে। জোড়পূর্বক একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। অপহৃতার মা মর্জিনা বেগম পিছু ধাওয়া করলে মাইক্রোবাসটি নাড়াবাড়ীর দিকে চলে যায়। এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা আরফান আলী বাদী হয়ে অপহরনকারী সবুজার রহমান সায়েম (১৮) এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অপহৃতা এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত ৭ মে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ অপহৃতাকে পরের দিন ৮ মে আদালতে সোর্পদ করলে বিজ্ঞ বিচারক অপহৃতার অভিভাবককে না পেয়ে রাজশাহী সেফ হোম এ পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, অপহরণ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীদের সনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। ধৃত আসামী সবুজার রহমান সায়েমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।