রংপুরে গরমের তীব্রতা কাটছেই না, অতিষ্ঠ জনজীবন

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-28 08:19:26

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে টানা তীব্র গরমের তীব্রতা কাটছেই না। সপ্তাহ জুড়ে চলা দাবদাহে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার পড়ে গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এদিকে তীব্র গরমে সব শ্রেনীপেশার মানুষের অবস্থা কাহিল। তাপদাহ বিরাজ করায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। কর্মজীবি ও শ্রমজীবিরা যারা বের হচ্ছে তারা তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। তবে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষের অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। তীব্র গরম আর প্রখর রোদে ফসলের মাঠে কাজ করা মানুষ হিসফিস করছে। প্রখর রোদে মাঠে দীর্ঘক্ষন কাজ করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে দিনে গরম আবার মধ্যরাতে কিছুটা ঠান্ডায় বৃদ্ধ নারী-পুরুষ ও শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে। ডাইরিয়া, বমিসহ নানা রোগে আক্রান্তরা হাসপাতালগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। এই অবস্থায় রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলের কৃষকরা রোরো ধান কাটা-মাড়াই করছে। ইরিসহ বিভিন্ন শাক-সবজির খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে সমখানেই বৃষ্টির জন্য মানুষের হাহাকার লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়াও রংপুরের মিঠাপুকুর পদাগঞ্জ অঞ্চলসহ জেলা ও বিভিন্ন স্থানে হাঁড়িভাঙ্গা আম সহ বিভিন্ন জাতের আম ও লিচু চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। তারা গাছের গোড়ায় পানি দেয়াসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিগগিরই এ তাপমাত্রা আরোও বাড়তে পারে।

নগরীর আশরাফুল আলম, আফজাল হোসেনসহ কয়েক প্রবীণ ও শ্রমজীবি মানুষ জানায়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গ্রীষ্ম বিদায় নিবে। গ্রীষ্মের গরম থাকলেও বৈশাখী ঝড় বা বৃষ্টি হচ্ছে না । বাইরে বেরহলেই সূর্যের প্রখর তাপে পড়তে হয়। দিনে থাকে তপ্ত সূর্য আর রাতে গরম বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি। তীব্র খরতাপের কারণে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে অনেকের আয় কমে গেছে। টানা সপ্তাহের দাবদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবীদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বার প্রকৃতি বিরুপ আচরণ করছে। প্রতিদিন তামপাত্রা বাড়ছে।