বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে  নৌকার প্রার্থী হতে চান লিলি

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-18 13:53:08

রংপুর-২ আসন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ  উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর ২ আসন। লাঙ্গলের দুর্গখ্যাত এ আসনটিতে এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমনা আক্তার লিলি।

সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন, সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ও প্রতিটি এলাকাতে সম-উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক দিন থেকে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন সুমনা আক্তার লিলি। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।

এক সাক্ষাৎকারে সুমনা আক্তার লিলি বলেন, আমার নেত্রী, আমার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে, তাদের সুখে হাসতে, জণগণের সুখই যেন আমার নেত্রীর সুখ। যেহেতু আমি তাঁর ভালোবাসাই বেড়ে ওঠছি। তাঁকে দেখেই আমার রাজনীতি শেখা, তিনি আমার অনুপ্রেরণা। তাঁর আদর্শ আমি খুব কাছ থেকে পেয়েছি। তাঁর (শেখ হাসিনা) মতো কখনো হতে পারবো না কিন্তু তার পথ ধরে চলতে সব সময় তাঁকে স্মরণ করি, তাঁকে সামনে রেখেই কাজ করছি।

তিনি বলেন, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর অঞ্চলের মানুষের কথা জাতীয় সংসদে বলতে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে মনোনয়ন পত্র জমা করেছিলাম।এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ জন্ম এলাকা বদরগঞ্জ -তারাগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই।

লিলি বলেন, আমার জন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া একটি পরিবারে। তাই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করেই বেড়ে উঠেছি। আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমি ও আমার পরিবার পাওয়ায় নিজেকে বড় ধন্য মনে করি।

তিনি আরও বলেন, তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ উপজেলার মানুষদের আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি। তাদের কোলে পিঠে আমি বেড়ে উঠেছি। সুতরাং প্রান্তিক মানুষের জীবন যাত্রার বিষয়ে আমার ধারণা রয়েছে।আমার এলাকার মানুষের অভাব-অভিযোগ, পাওয়া না পাওয়া, হাসি কান্নার সাথে আমি পরিচিত। তাদের অভাব এবং না পাওয়ার যন্ত্র, বেদনা গুলো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সব ছেড়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে আমি সার্বক্ষিন চেষ্টা চালিয়ে আসছি। তাদের না পাওয়ার বেদনা যেন আমাকে বেকুল করে তোলে। কখন তাদের পাশে দাঁড়াবো এই ভেবেই দিন-রাত কেটে যায় আমার। তাদের সুখি করতে তাদের মুখে হাসি ফোটানোই যেন আমার এক মাত্র লক্ষ।

সুমনা আক্তার লিলি  বলেন, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা যারা পড়া- লেখার খরচ চালাতে পারে না, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে কিন্তু পড়া লেখার খরচ চালাতে পারছে না, তাদের এককালীল পাশে  দাঁড়াচ্ছি। এমনকি অসহায় মানুষ, যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা কারাতে পারেন না তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন দূর্যোগ মূহুর্তে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়িয়েছি। করোনার সময় নিজ এলাকায় দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ,শীতকালে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, অসহায় নারীতের মাঝে নিজ অর্থায়নে সেলাই মেশিন বিতরণ  থেকে শুরু করে সব সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবো এই স্বপ্ন দেখছি সেই কিশোর বয়স থেকেই। যতই বেড়ে উঠছিলাম ততই সেই স্বপ্ন আমাকে ঘুমাতে দেয় না। এখনো দিচ্ছে না।সেই স্বপ্ন আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। সে কারণেই আমি এবার রংপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য হতে চাই। এলাকার মানুষ সেই দাবী করে আসছে।

উল্লেখ্য, সুমনা আক্তার লিলি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী জগদিশপুরের সন্তান। তার পিতার নাম আইয়ুব আলী খান। তিনি রাজধানীর ইডেন কলেজে পড়াশুনা করেছেন। এছাড়াও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীগে যুব ও ক্রীড়া উপ- কমিটির কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান তিনি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি ।