রংপুরে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব নেই দাবদাহ ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-12 17:12:31

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন প্রভাব দেখা যায়নি রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলে।  আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রখর রোদ আর দাবদাহ দেখা গেছে। সেই সাথে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে ভাইরাসজনিত রোগের প্রার্দুভার বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন আবহওয়ায় জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়ার পাশাপাশি হিটস্ট্রোক, চর্মরোগসহ শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

এদিকে বিদ্যুতের নাজুক অবস্থার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলের মানুষজন। গরমের কারণে বেড়ে গেছে হাতপাখার কদর। তবে চড়া মূল্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, রোববার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোন মেঘের ছিটেফোটা নেই। প্রচণ্ড গরমে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ মাঠে কাজ করতে হিমসিম খাচ্ছেন। এতে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে রোগ-বালাই। গত কয়েকদিন ধরে রংপুরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান। তিনি আরোও বলেন, ১৬ মে’র আগে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা নেই।

এদিকে রংপুর মহানগরীতে বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ গরমকে ঘিরে ফুটপাতগুলোতে তালপাখাসহ বাঁশ, কাপড় ও সূতার তৈরি বিভিন্ন ধরণের হাতপাখার পসরা সাজিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। ১০ টাকার হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। যা পূর্বের চেয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন। অন্যদিকে অব্যাহতভাবে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এতে  চরম বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমিজীবিসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। বিশেষ রোরো ধান মাঠে থাকায় প্রচন্ড রোদ ও দাবদাহের কারণে ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়াও রংপুরসহ এ অঞ্চলে ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ায় প্রচন্ড রোদ আর গরমের মধ্যেই কৃষকরা ব্যবস্ত সময় পার করছেন।

রংপুর নগরীর তামপাট এলাকার আশরাফুল আলম, হুমায়ন শাহিন ও কেরানীরহাট এলাকার সাইফুল ইসলাম সহ কয়েকজন জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানায় রংপুরের মানুষজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। তারা মনে করছিল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু দেখা গেলো উল্টো চিত্র। রোদ আর দাবদাহে অতিষ্ঠ তারা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝড়ে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ভর্তি হচ্ছেন।