শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ! তদন্ত কমিটি গঠন

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-26 23:25:12

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সরকারী আলিমুদ্দিন কলেজের গনিত বিভাগের শিক্ষক কাওলাদ হোসেন ও তার স্ত্রী জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসনিম আরা মীমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া কলেজ চলাকালীন সময় প্রাইভেট পড়ার অভিযোগও উঠেছে ওই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। 

প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ফারিহা ফানসাব রিসা নামে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী একই কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসনিম আরা মীমের কাছে প্রাইভেট পড়েন। ওই শিক্ষার্থী অন্য এক শিক্ষকের কাছে গনিত বিষয়েও প্রাইভেট পড়েন। কিন্তু শিক্ষক তাসনিম আরা মীম ওই শিক্ষার্থীকে তার স্বামী গনিত বিভাগের শিক্ষক কাওলাদ হোসেনের কাছেও  প্রাইভেট পড়তে চাপ দেন। এতে ওই শিক্ষার্থী ফারিহা ফানসাব রিসা রাজি না হওয়ায় জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসনিম আরা মীম গত সোমবার (২৯ মে) তাকে প্রাইভেট কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং অপমানিত করেন। এ ছাড়া কলেজ চলাকালীন সময় ওই শিক্ষক দম্পতি বাসায় প্রাইভেট পড়ান এতে শিক্ষার্থীরা কলেজ ফাঁিক দিয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী ফারিহা ফানসাব রিসার বড় ভাই রিয়াদ হাসান বিচার চেয়ে গত মঙ্গলবার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগও করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কাওলাদ হোসেন বলেন, প্রাইভেট পড়বে না ভালো কথা।  তার সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি। যেহেতু অভিযোগ করেছে, সেহেতু তদন্ত হোক।

হাতীবান্ধা সরকারী আলিমুদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই কলেজের আমি সভাপতি তাই কলেজ অধ্যক্ষকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি । পাশাপাশি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।