ভূরুঙ্গামারীর মাদক সম্রাট এরশাদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-29 08:15:04

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে ভূরুঙ্গামারীর চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী দশ মামলার আসামী একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের দাবী পুলিশি নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থনেশি মাদককারবারী চক্র।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার মোঃ আবু সাইম। তিনি বলেন, একরামুল হোসেন নামের ওই হাজতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই হাজতি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের শওকত আলী ছেলে। শনিবার বিকেলে ওই হাজতীর মৃতুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে বেশকিছু এলাকাবাসী। একরামুল এলাকার মাদক সম্রাট বলে পরিচিত। সে সবসময় মাদক সেবন করে এলাকায় মাতলামী করত। কেউ বাধা দিলে তাকে অসম্মান করে গালি গালাজ করত। নিহত একরামুলের বোন শিউলি বেগম অভিযোগ করেন পুলিশি নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিহত একরামুলের উপর নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্ন মিথ্যা। তবে তাকে আটকের সময় পুলিশের সঙ্গে একটু ধস্তাধস্তী হতে পারে। একরামুল  চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবন কারী। অধিক মাত্রায় মাদক সেবনে সে গুরুতর অসুস্তার কারণ। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের ৮টি সহ মোট ১০টি মামলা চলমান।

এছাড়া কয়েক বছর পূর্বে এপিবিএন বগুড়ার একটি দল মাদক দ্রব্য উদ্ধার করতে গেলে এরশাদ ও তার বাড়ীর লোকজন তাদের আটক করে মারপীট করে আহত করে এ ব্যাপারে এরশাদ ও তার ভাইবোনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল।

গত ৩১ মে বুধবার ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই সুবাস ও এএসআই রাজুসহ পুলিশটীম এরশাদকে মাদকসহ বাড়ীতে আটক করার সময় কৌশলে মাদক সরিয়ে ফেলে। পরে এরশাদকে আটক করে ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল।

ভূরুঙ্গামারীথানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মাদক বিরোধী অভিযানকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

 ভূরুঙ্গামারীথানাকে মাদক মুক্ত করতে কোন অপশক্তি মাদক বিরোধী অভিযানকে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলেও তা প্রতিহত করে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

উল্লেখ্য, ওসি নজরুল ইসলাম ভূরুঙ্গামারী থানায় গত ১৯ জানুয়ারী/২৩ ইং তারিখে যোগদানের পর এ পর্যন্ত ২৩ টি মাদক মামলায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করেছেন প্রায় ৩৪ কেজি গাজা, ২৫৫ বোতল ফেন্সিডিল, ১২১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০১ বোতল মদ,৩৭ বোতল স্ক্যাপ, ১১ গ্রাম হেরোইন এছাড়াও  ৬টি জুয়া মামলায় গ্রেফতার করেছেন ৪৪ জন এবং জব্দকৃত প্রায় ৭০ হাজার টাকা।