পীরগঞ্জ (রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে বিচারকের রায় অমান্য করে আদালত মুখি হওয়ার ভয়ভীতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর অভিযোগ।জানাযায় উপজেলার মেষ্টা গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম গত ২ বছর আগে বিবাহ করে, আকন্দের পাড়া গ্রামের মৃত সাদেকুল ইসলামে কন্যা শাহানাজ বেগম কে। তাদের দম্পতি জীবন সুন্দর ভাবে চলছিল হঠাৎ মা ভাইয়ের কারনে সংসার এখন নষ্টের পথে।
দুই পরিবারের সাথে কথা বলে জানাযায়, কাবিননামায় ২ লক্ষ টাকা ধার্য করে বিবাহর কাজ সম্পন্ন হয়। শাহনাজের বাবা বেচে না-থাকার কারনে ভাই এবং মা দেনমোহরের টাকার লোভে জামাই কে অসম্মান ও লাঞ্চিত করে থাকেন প্রায়ই। জামাইয়ের বাড়িতে মেয়ে কে ৩ দিনের বেশি থাকতে দেয় না মেয়ে কে। যে কারনে ছেলের পরিবার পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে শানেরহাট বিট পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমানসহ তাদের মিমাংসা করে সংসার বহালের পরামর্শ দেয়। কয়েক দিন পরে গুর্জীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শিলা বেগমের নিকট দেনমোহরের টাকা চেয়ে বিচার দেন শাহনাজ বেগমর ভাই ও মা সেখানে সঠিক বিচার না পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট একইভাবে অভিযোগ দেন। থানা পুলিশের সংসার বহাল রাখার আভাস পেয়ে, তারা থানায় আসছে না। তবে আদালতে দেনমোহরের মামলা দায়েরের কথা বলছেন মেয়ে পরিবারের লোকজন।
রবিউল ইসলাম বলেন, মেয়ের ভাই ও মা দেনমোহরের ২ লক্ষ টাকা আদায় করতে তারা কয়েক জায়গায় বিচার সালিশ দিয়েছে। বিচারক তাদের পক্ষে রায় না দেয়ার কারনে, বিচারকেদের প্রতি তাদের ভরসা নেই। সেই জন্য তারা দেনমোহরের টাকা উদ্ধার করতে আদালত মুখি যাবার ভয় দেখাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শানেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান জানান, মেয়ে সংসার করতে চায় কিন্তু মা ও ভাই তাদের সংসার ভাঙতে কোনো বিচার মানছে না।