রংপুরে রুফটপ রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদক ব্যবসা, মালিকসহ গ্রেপ্তার-৫

আমাদের প্রতিদিন
2024-07-25 05:04:41

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুর নগরীর চারতলা মোড় এলাকায় টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছিল এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন নামের ব্যবসায়ী। তার নিজ বাড়ির ছাদে রুফটপ রেস্টুরেন্ট হওয়ায় বাসায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল রেখে খুব সহজে চাতুরতার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। ওই রেস্টুরেন্টে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ পেয়েছে গোয়োন্দা পুলিশ। অবশেশে বিপুল পরিমান মাদকসহ রেস্টুরেন্টের মালিকসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর নগরীর কলেজ রোডের চারতলা মোড়ের কাশেম টাওয়ারের স্বত্ত্বাধিকারি এসএম মীর কাশেমের ছেলে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টের মালিক এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ অরফে লিংক (৫১), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার বাগডাঙ্গা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২), রংপুর নগরীর আশরতপুর পার্কের মোড় এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল আলম অরফে রতন (৩২), নগরীর ধর্মদাস মিলনপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩৫), নগরীর শালবন এলাকার আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে শিপন মিয়া (২৭)। এসময় ১৬৩ পিস ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।

তিনি জানান, এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ অরফে লিংকন চারতলা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিজ ৬ তলা ভবনের ছাদে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার আড়ালেই অধিক লোভের আশায় মাদকের কারবারও শুরু করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন তিনি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জানুয়ারি টুইন রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়কালে হাতেনাতে তাকেসহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ১৬৩ পিস ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রংপুর নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে এক শ্রেণির অসাধু চক্র মাদকের কারবার করছে এরকম তথ্যের ভিত্তিতে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টে অনেক তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযান পরিচালনা করে ৫ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরো কেউ কিংবা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টের যোগসূত্র আছে কি না অথবা এখান থেকে কারা কারা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে সেগুলো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।