পলাশবাড়ীতে পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-30 14:52:17

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :

ঈদকে সামনে রেখে পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বিপণি বিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে।  সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের ঈদের চেয়ে এ বছর বেশি দাম রাখছেন দোকানিরা। শহরের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত ও বিপণি বিতানগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দ মতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। আবার টেইলার্সের দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। দু'দিন আগেই থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা।

শহরের হাইস্কুল মাকের্টে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কামরুন্নাহার বলেন, গত দু' বছরের ঈদ উপলক্ষে তেমন কোন কেনাকাটা করতে পারি নাই। এবার শপিং করতে আসছি। আজকেই নিজের ও আত্নীয়স্বজনের জন্য শপিং শেষ করতে চাই। সকালে এশে বাচ্চাদের কেনাকাটা করেছি, এখন বাকি আমার। তবে বাচ্চাদের পোশাকের দাম কিছুটা বেশি।

 কালিবাড়ী বাজার রোডে নতুন কাওসার মাকের্টে কেনাকাটা করতে আশা ফাতেমা বলেন, বাচ্চা ও স্বামীর জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। এখন পর্যন্ত কিছুই কিনতে পারিনি ৪-৫ টি দোকান ঘুরে দেখেছি পছন্দ হচ্ছে না। এখন যাব চৌধুরী মাকের্টে গিয়ে দেখি পছন্দ হয় কিনা। ঈদ বকে কথা কেনাকাটা তো করতেই হবে।

কালিবাড়ী বাজার রোডে রায় গামেন্টসের স্বত্বাধিকারী বলেন, ক্রেতারা নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। এ দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনতে হচ্ছে। ডিজাইন ও রকম ভেদে পোশাকগুলো ৬০০ থেকে ৩০০০ টাকা বা তারও বেশি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ মুহুর্তে বেচাকেনা অনেক ভালো হবে।

রোহার শুরুতে বেচাকেনা মন্দা থাকলেও রমজানের এখনও অনেক ভাল হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা জামাকাপড়ের পাশাপাশি জুতা,অলস্কার,কসমেটিকসহ বিভিন্ন প্রকারে প্রযোজনীয় জিনিস কিনতে দেখা গিয়েছে।

এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো শহরে ফুটপাতে ভ্যানে বা রাস্তার পায়ে বসা দোকানগুলো থেকে তাদের সার্ধ্যের মধ্যে পোশাক কিনছে।

পূর্ব গোপিনাথপুর থেকে কেনাকাটা করতে আশা রিপন বলেন, রোজা শুরুর দিকে কেনাকাটা করতে পারেনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ এসেছি ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে। তবে এবার জামা কাপড়ের দাম অন্য বছরে তুলনা একটু বেশি

হরিনাথপুর থেকে কেনাকাটা করতে আশা এক ব্যক্তি বলেন, মার্কেটগুলো আগের মত আর না থাকায় দোকানগুলো চিনতে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে।

কাশিয়াবাড়ী থেকে আশা ফরিদুল বলেন, মার্কেটগুলো ভাঙার কারণে এবং রাস্তাঘাট চার লেন উন্নিত করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে, যার কারণে পুরাতন বা পরিচিত দোকান গুলো খুজে পেতে সমস্যা হচ্ছে।

পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ বলেন, সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ২৪ ঘন্টা তাদের মনিটরিং টিম কাজ করে যাচ্ছে।  যাতে কোন ক্রেতা কোন ধরনের সমস্যার না পরে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।