গঙ্গাচড়ায় মুজিব বর্ষের নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুরের অভিযোগ চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে

আমাদের প্রতিদিন
2024-05-16 11:43:32

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও ইউপি সদস্য মজমুল হক ভ্যাগলের বিরুদ্ধে মুজিব বর্ষের নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে  পছন্দের লোককে ঘর বরাদ্দ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ঘর ভাংচুর করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ অনুযায়ী, উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙাগড়া এলাকায় ৫ম পর্যায়ে ৭০ টি গৃহের নির্মাণ শেষে ঘর বরাদ্দের আবেদন গুলো যাচাই বাছাই করে ৭০ টি প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পূর্নবাসন করা হয়।

৭০ টি ঘরের মধ্যে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান তার মনপুত ৩৬ টি লোকের ঘর চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। চেয়ারম্যানের দেওয়া ৩৬ জনের তালিকাটি যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক যাচাই বাছাই করে ওই তালিকা থেকে ৩১ জনকে বাদ দিয়ে প্রকৃত  ৫ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৩১ মার্চ আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ইউপি সদস্য মজমুল হক ভ্যাগলকে সাথে নিয়ে ভাঙাগড়া

এলাকায় জরাজীর্ণ সিআইসিট ব্যারাকের স্থলে নির্মাণাধীন ২ কক্ষ বিশিষ্ট একক গৃহের ১ টি ঘরে ঢুকে ঘরের কিছু অংশ ভাংচুর করেন।

স্থানীয় মোঃ নজির হোসেন বলেন, আমি বর্তমানে জরাজীর্ণ সিআইসিট ব্যারাকের পাশে টিনের চালিত থাকি। রাত ১১-১২ টার দিকে দেখি দুইজন লোক নির্মাণাধীন ২ কক্ষ বিশিষ্ট একক গৃহের ১ টি ঘরে ঢুকে নিলটন ভাংচুর করতে ছিলো। আমি কাছাকাছি গিয়ে দেখি জিল্লুর চেয়ারম্যান ও ভ্যাগল মেম্বার। আমি তাদেরকে বলি যে আপনারা সম্মানিত লোক রাতের বেলা আপনারা এগুলা ভাংচেন কেন, এই কথা বলায় তারা আমাকে বলে তুই বেশি কথা কইস না। তুই এসব বুঝবি না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোক দেখি নিবো বলে হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মজমুল হকের (ভ্যাগল) কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে ঘর ভাংচুর নিয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য একটি বিষয় আছে, উপজেলা পরিষদ যাইতেছি সামনাসামনি কথা  বলবো। আপনি যেটা বললেন সেটাও ঠিক, আমি যেটা বললাম সেটাও ঠিক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, এরকম অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।