কুড়িগ্রামে কৃষকদের ঈদ উৎসব গ্রামীণ খেলা দেখতে জনতার ভীড়

আমাদের প্রতিদিন
2024-05-14 20:11:40

কুড়িগ্রাম অফিস:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ঈদ উৎসবে কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে  ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলা দেখতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসেছে শত শত দর্শনার্থীরা। কৃষকদের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যতিক্রম খেলার আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামে একটি সামাজিক সংগঠন।মুলত কৃষকদের ঈদ আনন্দ প্রাণবন্ত করতে এ খেলার আয়োজন করেছে সংগঠনটি।খেলা শেষে ৩৫ জন বিজয়ীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন সংগঠনটি।

গতকাল ১২ এপ্রিল শুক্রবার দিনব্যাপী  ফুলবাড়ী  উপজেলার উত্তর বড় ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এসব খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে হাড়িভাঙ্গা,বালিশ খেলা, সুঁই সুতা, সাঁতার, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে চড়া, কৃষাণীদের বল ফেলা, বলিশ খেলা ও যেমন খুশি তেমন সাজ, কৃষকদের স্লো সাইকেল খেলা,বেলুন ফাটানোসহ নানা রকমের খেলায় অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী শতাধিক কৃষক -কৃষাণীরা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আইনুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফি খান, রংপুর বিভাগীয় হিসাব রক্ষক মোঃ সাইদুল হক ফাইট আনটিল লাইট ফুল এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল কাদের প্রমুখ।

খেলা দেখতে আসা ময়নাল হক বলেন, গ্রামে এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।সব চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কৃষকদের হাঁড়ি ভাঙা, সাইকেল খেলা দেখে।এছাড়া কৃষাণীদের সুই সুতা খেলা ও বালিশ খেলা ছিল বেশ উপভোগ্য।

কৃষক মোঃ নুর ইসলাম বলেন, কৃষকদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন সত্যি ভালো লেগেছে।আমরা এখানে শতাধিক কৃষক কৃষানী আজকের খেলায় অংশ নিয়েছি।খু্ব ভালো লেগেছে।

ফাইট আনটিল লাইট ফুল এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, কৃষক হাসলে, বাংলাদেশ হাসে এ প্রতিপাদ্যকে ধারন করে দিনব্যাপী শতাধিক কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে প্রায় ২২ টি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।এ খেলার মাধ্যমে সমাজে বাল্য বিয়ে বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করেছি। এছাড়া গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি সামিউল হক নান্টু বলেন, কৃষকদের নিয়ে ফুলের ব্যতিক্রমী এ ক্রীড়া অনুষ্ঠান সত্যি দর্শকদের মন কুড়িয়েছে।সেই সাথে দর্শকরা মনযোগী হলে এরকম প্রোগ্রাম থেকে অনেক কিছু শেখা সম্ভব।সরকার ও সচেতন মহলের উচিৎ গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।