কেমন আছেন আশ্রয়নের বাসিন্দারা আকস্মিক পরিদর্শনে গঙ্গাচড়া ইউএনও

নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪ ধাপে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ৬০০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। এরই মধ্যে ৪র্থ ধাপে ২০০ সুবিধাভূগী গৃহ হীনদের মধ্যে তাদের গৃহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই ঘর পেয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন। যাদের কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা ছিল না, কেউ অন্যের জমিতে বসবাস করত, এমনই ৬শত পরিবারকে সরকারি ঘর প্রদান করা হয়েছে এ উপজেলায়। সেই ঘরের বাসিন্দারা কেমন আছেন তাদের দেখতে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া এলাকায় গেলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না । এসময় আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন তিনি শুনেন তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা এবং তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আশ্রয়নের বাসিন্দা বিধবা ঝুনকাই (৫৫) কেকেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন, শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মূছতে মূছতে বলেন, ‘জীবনে স্বপ্নেও ভাবং নাই মুই ঘরের মালিক হইম, জায়গার মালিক হইম, খাই বা না খাই নিজের ঘরে শান্তিত ঘুমাইম, এসব আমার মতো গরীবের কাছে ছিল দু:স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন ঘরের মালিক হচুং, ২ শতক জায়গার মালিক হচুং, শান্তিতে বসবাস করংচোল এখন স্বপ্নের মতো মনে হয়। এমন কথা বলেন মুজিব বর্ষের ঘর পাওয়া অনেকেই। আশ্রয়ণ গুলোতে রয়েছে ২ শতাংশ জমির উপর একটি ২ রুমের সেমি পাকা ঘর, আছে আধুনিক সুবিধাসমূহ, রয়েছে বিদ্যুৎ , সড়কের পাশে এ প্রকল্প গুলো গড়ে তোলায় বিভিন্ন ভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ভূমিহীন মানুষগুলোর মনে করেন স্থানীয়রা।