৯ আশ্বিন, ১৪৩০ - ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ - 25 September, 2023
amader protidin

পলাশবাড়ীতে কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ শিক্ষক ৬ কর্মচারী শিক্ষার্থী ১২ জন

আমাদের প্রতিদিন
1 week ago
118


বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা):  

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের কদমতলী নিম্ন ম্যাধমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক ৬ জন ও কর্মচারী ৬ জন । সঠিক সময়ে তারা বিদ্যালয়ে না আসায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনউপস্থিতিতে শিক্ষার পরিবেশ হারিয়ে মুখ থুবরে পড়েছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা। বিদ্যালয়টিতে কাগজ কলমে ১৬০ জন শিক্ষার্থী দেখানো হলেও উপস্থিত পাওয়া যায় তিন ক্লাসে মাত্র ১২ জন শিক্ষার্থী কে। 

বিদ্যালয়টির নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম - দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার তুলে ধরতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ ১ম পর্বে দেখা ও জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় গিয়ে কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ষ্ট শ্রেনীতে ১ জন , সপ্তম শ্রেনীতে ৭ জন ও অষ্টম শ্রেনীতে ৪ জন শিক্ষার্থীকে উপস্থিত পাওয়া গেলেও প্রধান শিক্ষক কে এম সরোয়ার কায়েনাত কাজী লাবলুকে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের অফিস সহকারির নিকট জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে কাগজ কলমে শিক্ষার্থী সংখ্যা মোট ১৬০ জন ,প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৬ জন শিক্ষক ও কর্মচারি মোট ৬ জন। নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে গোপনে নিয়োগ বানিজ্য করে বিদ্যালয়টিতে ইতি মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৫ জন কে নবনিয়োগ প্রদান করা হলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ আজও ফিরে আসেনি বিধায় শিক্ষার্থী শূন্যতা দেখা দিয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবকগণ। তারা আরো জানান,বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে অভিভাবক সমাবেশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় তদারকি প্রয়োজন।

এবিষয়ে কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম সরোয়ার কায়েনাত কাজী লাবলু মোবাইলে জানান,উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয়ের কাজের জন্য তিনি বিদ্যালয় হতে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি আজ আর বিদ্যালয়ে ফিরবেন না বলে জানান।

পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক অফিসে এসেছিলেন তিনি বিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। শিক্ষার্থীর অনউপস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন।

উল্লেখ্য,কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে ৬ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী আর প্রতিদিন বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাসে মোট ১০ হতে ১২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয় । এমন অবস্থা চলমান থাকলেও উপজেলা শিক্ষা অফিস বা জেলা শিক্ষা অফিসের কোন তদারকির নেই বললে চলে। বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে জেলা ও বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাগণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়