ডোমারে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্থ

ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পুকুর ডুবে গিয়ে বেরিয়ে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। ধানক্ষেতে পানি ভরাট হয়ে পানির নিচে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হযেছে । এর মধ্যে জেলা সদরে ৮৮ , সৈয়দপুরে ৯০ এবং ডালিয়ায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। তবে আরো বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে ডিমলা আবহাওযা অধিপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর আহম্মেদ জানিযেছেন গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৬১ মিলিমিটার(সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত)ও রবিবার সকাল ৯ টায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হযেছে।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে দারুন বিপাকে পড়েছে সবাই।অপরদিকে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে খামারিরা। তেমনি বৃষ্টিপাতে নদী ভরাট হয়েছে ধানক্ষেতে পানি প্রবেশ করে ধানক্ষেতের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলার ০৯ নং সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আজকের মধ্যে ক্ষেতের পানি না কমলে ধান ক্ষেতের ধানগুলো পাতানে ভরে যাবে। অপরদিকে ডোমার পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের নামাজী পাড়ার একাংশে পানিবন্দী হয়ে পরেছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। বৃষ্টির পানি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করায় তারা রান্না বান্না করতে না পেরে শুকনা খাবার খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।সারারাত বৃষ্টি চলতে থাকলে নামাজী পাড়ার বেশিরভাগ ঘরবাড়ী পানিতে বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
এবিষয়ে ডোমার পৌরসভার ০৩ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন বলেন, পানিবন্দি নামাজী পাড়া এলাকার মানুষের বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে তিনি বলেন, পৌরসভার আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। অপরদিকে মেয়র মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন,বর্ষাকালেতো বন্যা হবেই।
০৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন আরও বলেন এইসব বন্যার্ত পরিবারকে যদি সাহায্য সহযোগীতা না করা হলে তাদের অবস্থা আরো করুন হবে।পরিশেষে তিনি সরকারীভাবে এইসব বন্যার্তদের পাশে এসে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য উদ্ধাত্ত আহবান জানান।