বিরলে মাদক কারবারী পাওনা আদায়ে বাজারে প্রকাশ্যে মারপিট করায় একজনের কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা

বিরল (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
বিরলে মাদক কারবারী পাওনা আদায়ে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে মারপিট করায় একজনের কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনায় সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের মৌচুষা (চেয়ারম্যানপাড়া) গ্রামের বেশার উদ্দীন এর ছেলে মোঃ হাসেন (৪৫) কে একই গ্রামের শাহাপাড়ার জামাল উদ্দীন এর ছেলে মাদককারবারী জয়নুল ওরফে কালু (৩৫) সহ সঙ্গীয় ঠাকুরপাড়ার মব্বাস আলী এর ছেলে আনোয়ার ওরফে ডিমলা (৩৭) ও ভোলা এর ছেলে জবেদুরসহ আরো ৪/৫ জন সোমবার সকালে স্থানীয় বুড়িরহাট বাজারে দেনা-পাওনা বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে মারপিট করে। বাজারে প্রকাশ্যে মারপিটের লোকলজ্জায় হাসেন কীটনাশক পান করলে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে দ্রæত বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ভিকটিম হাসেন আলী এর ছেলে তরিকুল ইসলাম জানান, জয়নুল ওরফে কালু ভারতে ভালো বেতনে কাজের কথা বলে অবৈধ পথে নিয়ে গিয়ে মাদকসসহ দেশে ফেরত পাঠাতে চাইলে তরিকুল আসতে অস্বীকৃতি জানায়। ক্ষিপ্ত হয়ে কালু ভারতের অভ্যন্তরে তরিকুল কে আটক করে রাখে এবং দেশে ফেরত আসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এরপর তরিকুল দেশে ফেরার পর হতে তার পিতা হাসেন আলীর নিকট যখন-তখন ৫০ হাজার টাকা দাবি করে টাকা না দিলে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। সোমবার সকালে হাসেন আলী স্থানীয় বুড়িরহাট বাজারে জিয়ার দোকানে এসে পৌছলে আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করলে সে প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদ করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কালু, আনোয়ার ও জবেদুরসহ সঙ্গীয় লোকজন জনসম্মূখে মারপিট করে। ক্ষোভে ও লজ্জায় হাসেন কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে উদ্ধার করে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ভিকটিম কালু দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে জয়নুল ওরফে কালু এর ০১৭১০৫৬০১৭৭ নম্বরে জানতে চাইলে তিনি বলেন তরিকুল এর পিতা হাসেন ভারতে একটি টাকার বিষয়ে জিম্বা হয়ে এখন টাকা দিচ্ছে না। বিস্তারিত জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। আনোয়ার ওরফে ডিমলা এর ব্যবহৃত ০১৮৯১৮৬৫১৯৪ নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী মাদককারবারীদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।