২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ - ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ - 07 December, 2023
amader protidin

মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যানের জানাযা’য় মানুষের ঢল, মামলা দায়ের

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
60


হত্যাকান্ডের খবর শুনে চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজনের মৃত্যু

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:

রংপুরেরর মিঠাপুকুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাববুবর রহমানের (৬০) জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার পায়রাবন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে বিকাল সাড়ে ৩ টায় জানাযা’র নামাজে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ গ্রহন করেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত চেয়ারম্যানের ছেলে বাদি হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানের মৃত্যুর খবর শুনে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পায়রাবন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে জানাযা’র নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। জানাযা’য় দুর-দুরান্ত হতে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ গ্রহন করেন। এছাড়াও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, ইউএনও রকিবুল হাসান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে লাবিব আহসান বাদি হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে হত্যাকারী হারুন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিঠাপুকুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার পিছনে কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা ঘতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চেয়ারম্যানের ছেলে লাবিব আহসান বলেন, আমার বাবার কোন শত্রæ ছিলনা। কিকারণে হত্যা করা হলো আমরা বুঝতে পারছিনা। তবে, আমি বিশ^াস করতাম আমার বাবা একদিন শহিদ হবেন। সেটি সত্য হলো।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হত্যাকারী হারুন মিয়া (৪৫) চেয়ারম্যানের বাড়ি ও ব্যবসা কেন্দ্রের পাশে মাছের ব্যবসা করেন। সে মাদকাসক্ত। একটি শালিক বৈঠককে কেন্দ্র করে দির্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত ছিল হারুন মিয়া। রোববার রাতে মাছ কাটার বটি দিয়ে চেয়ারম্যানের গলায় কুপ দেয় সে। এতে গুরুতর আহত হয় চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বলেন, কোন কিছু বোঝার আগেই হারুন মিয়া চেয়ারম্যানের গলায় আঘার করে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তিনি আরও বলেন, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়িদের চক্ষুশুল ছিলেন চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান। মুলত. একারণেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়