৬ বৈশাখ, ১৪৩১ - ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ - 19 April, 2024
amader protidin

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে একটি ভাঙা সেতু ৬ বছরেও পূন:নির্মান হয়নি:ভোগান্তিতে ৪ গ্রামের বাসিন্দারা

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
121


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:  

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘ ৬বছরেও সংস্কার হয়নি ভেঙ্গে যাওয়া একটি সেতু। ভোগান্তিতে চার গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। শুধু সেতুই নয় ওই এলাকার কাঁচা সড়কটিও সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার অসহায় মানুষগুলো ঘুরছেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দপ্তরের দাড়ে দাড়ে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মজাইটারী-নয়াবস এলাকায় এ সেতুটি নির্মাণের তিন মাসের মাথায় বন্যার তোড়ে ভেঙে যায়। ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কাঁচা সড়কটিও। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু ও সড়ক কোনটিও আর মেরামত করা হয়নি। এর ফলে নয়াডারা, মজারটারী, চরোয়ার পাড় ও নয়াবশ এলাকার কয়েক হাজারো মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তখন থেকেই এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও উদাসীন। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে নেয়নি কোন উদ্যোগ।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ সিরাজুদ্দৌলা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো জানান, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে ঐ সেতুটির কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। এর ৩ মাসের মাথায় বন্যার পানির তোড়ে সেতুর দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়। সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতুটিও ধ্বসে গিয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াবশ এলাকার রবিউল ইসলাম (৫০) বলেন, অনিয়মের মধ্য দিয়ে সেতুটি তৈরির ফলে অল্প দিনেই এ অবস্থা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এখন চলাচল করতে হয় আমাদের। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং সরকারি দপ্তর গুলোতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সাড়া মেলেনি দীর্ঘদিনে। একই এলাকার জয়নাল হক (৫৫) বলেন, সেতু তৈরির কয়েক মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কসহ সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে চলাচল করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়েছে। দেখার কেউ নেই। বিড়ম্বনায় পড়ছে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে। অসুস্থ রোগীদের সময় মতো হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়না। কৃষি পণ্য আনানেয়ায় বেড়েছে খরচ।

স্থানীয় ফয়জার আলী ও জামেলা বেগম জানান, শুকনা মৌসুমে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বন্যার সময় কষ্টের সীমা থাকে না। তারা আরো জানান, সেতুটি তো ভাঙ্গা। এর বাইরে সংযোগ সড়কটিও বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটির বিষয়ে ত্রাণ শাখায় কথা বলেছি। আশা করি বরাদ্দ পাওয়া যাবে। বরাদ্দ গেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে এ ব্রিজটির।

 

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়