১৫ চৈত্র, ১৪৩০ - ২৯ মার্চ, ২০২৪ - 29 March, 2024
amader protidin

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল এক বাক্স ঘিরে ১৫ বছরের রহস্য

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
237


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের স্টোরে পড়ে থাকা একটি মূল্যবান জেনারেটরের বাক্স ১৫ বছরেও খোলা হয়নি। দেড় দশক ধরে পড়ে থাকা সেই বাক্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সবার কৌতূহলের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

হাসপাতালের স্টোরের নথি থেকে পাওয়া যায়, ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে সদর হাসপাতালে আসে জেনারেটরটি। এর মডেল নম্বর জিএফ ৩-৫০, এটি ৬০ কেবি জেনারেটর। এর দাম ছিল ৪ লাখ ৯৬০ টাকা। সদর হাসপাতালের স্টোরের দায়িত্বে থাকা মাহবুবুর রশিদ বলেন, মেসার্স ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধিদল জেনারেটরটি ২০০৭ সালে দিয়ে যায়। এরপর থেকেই এভাবেই স্টোরে পড়ে আছে। এটি কখনো খোলা হয়নি। এ বাক্সের ভেতরে জেনারেটর আছে না-কি, অন্য কিছু আছে, তা কখনো খুলে দেখা হয়নি। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।

জেনারেটরটি স্থাপন ও এতে যন্ত্রাংশ সংযোজন করার কথা ছিল যে কোম্পানির, তারাও সে কাজ করেনি। ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেনারেটরের কোনো চাহিদাও দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

জেনারেটরটি হাসপাতালের প্রয়োজনে না আসায় সেটি ফেরত পাঠাতে ২০১৪ সালে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন তৎকালীন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা.নজরুল ইসলাম। কাজ হয়নি সে চিঠিতেও। এখনো সেই বাক্সটি একইভাবে পড়ে রয়েছে। জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, ‘হাসপাতালের স্টোরে দীর্ঘদিন ধরে একটি বাক্স পড়ে আছে। এটি একটি জেনারেটরের বাক্স। বাক্সের ওপরে তাই লেখা আছে। কিন্তু এটি খুলে দেখা উচিত। ঠিক থাকলে ব্যবহার করা দরকার।’ এই জেনারেটর সম্পর্কে তিনি বেশি অবগত নন বলে জানান। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. নূর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, ‘সদর হাসপাতালের স্টোররুমে পড়ে আছে একটি জেনারেটর। সেটি তত্বাবধায়কের দায়িত্বে। যেহেতু জেনারেটরের বাক্সটি কৌতূহলী করছে সবাইকে, আমরা সেটি সবার সামনে খোলার উদ্যোগ নেব।’

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়