৫ চৈত্র, ১৪৩০ - ১৯ মার্চ, ২০২৪ - 19 March, 2024
amader protidin

ওয়ানডে বিশ্বকাপ কী খেলতে পারবেন মাহমুদউল্লাহ?

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
217


ক্রীড়া ডেস্ক:  

সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপই হতে পারে অনেক ক্রিকেটারের শেষ বিশ্বকাপ। বাংলাদেশেরও আছেন চারজন। এরা হলেন, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

যদিও দলে এখন আর নিয়মিত নন তারা। এই যেমন গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে তার ব্যাটিং ধরণ, স্ট্রাইকরেট কোনকিছুই আর এই ফরম্যাটের সাথে যাচ্ছিল না।

রিয়াদের অভিজ্ঞতা বরং হয়ে উঠেছিল গলার কাটা। তাইতো শ্রীধরন শ্রীরাম, সাকিব আল হাসানের দলে জায়গা হয়নি রিয়াদের। বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া রিয়াদ কী একটা জেদ পুষে রেখেছিলেন নিজের মধ্যে?

ফিরে আসার একটা তাগিদ তার মধ্যে ছিল নিশ্চয়ই। তাইতো মাঝের সময়টায় রোজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাকে দেখা যেত। সবাই যখন নানা সিরিজ, টুর্নামেন্ট খেলতে ব্যস্ত রিয়াদ তখন একাকী অনুশীলন করেন। কখনো বয়সভিত্তিক দলের ক্যাম্পে থাকা ছোট ছোট ছেলেগুলোর বলেও পরাস্থ হন, আবার ফিরে আসার লড়াই চালিয়ে যান।

নিজেকে প্রস্তুত করার সময় ফুরিয়েছে। এবার সময় নিজের জায়গাটা আবার ফিরে পাবার। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেকে প্রমাণ করার একমাত্র মঞ্চ বিপিএল মাঠে গড়িয়েছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কী তার ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে আরেকবার চমকে দিতে পারবেন?

তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আভাষ পাওয়া যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ দলে ফেরা তো দূরে, ফরচুন বরিশালেও ভালো করতে পারছেন না মাহমুদউল্লাহ। সাকিব-ইফতেখাররা যেখানে রান বন্যায় ভাসাচ্ছেন, সেখানেও রিয়াদ নিজেকে খুঁজছেন।  

এখন পর্যন্ত বরিশালের হয়ে খেলে ফেলেছেন ৮ ম্যাচ। যার তিনটাতে খুলতে পারেননি রানের খাতা। দুই অংকের স্কোর গড়তে পেরেছেন তিন ম্যাচে। যার সর্বোচ্চ ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস।

তবে সেই ৩৫ রানে দলের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। ইনিংসটি রিয়াদ খেলেছিলেন ৩১ বল থেকে। সাত নাম্বারে নেমে ব্যাটিং করেছেন ১১২.৯০ স্ট্রাইকরেটে। অথচ তারই সাথে অপরাজিত থাকা ইফতেখার আহমেদ ব্যাটিং করেছেন ১৬৪.৭০ স্ট্রাইক রেটে। ওই ম্যাচেই সাকিব ব্যাট চালিয়েছেন ১৭৬.৪৭ স্ট্রাইকরেটে।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে দলের বাকিদের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাটিংটা করতে পারছেন না তিনি। আসলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাথেই তাল মেলাতে পারছেন না অনেকদিন ধরে। সেজন্যই জায়গা হারাতে হয়েছে বরিশালের হয়ে। আর এবার তার ধীরগতির ইনিংস ভোগাচ্ছে বিপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।

রিয়াদের জন্য তাই জাতীয় দলে ফেরাটা এখন প্রায় অসম্ভব। ফিরতে হলে নিজের ব্যাটিং স্টাইলে আনতে হবে বিরাট পরিবর্তন। নাহলে হয়তো বরিশালের মত ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর ব্যাটিং লাইন আপেও তার জায়গা পাওয়া মুশকিল হয়ে উঠবে। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার রিয়াদের যাত্রার শেষই দেখা যাচ্ছে।

আর টেস্ট ক্রিকেট থেকে তো তিনি বিদায় জানিয়েছেনই। এখন বাকি থাকে শুধু ওয়ানডে ফরম্যাট। তবে এখানেও তার ব্যাটিং ধরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রশ্নগুলো আরেকটু জোরাল হলে রিয়াদের ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা হবে তো? নাকি অপেক্ষা করছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতই কোনো পরিণতি। অন্তত এখনকার সময়টা মোটেও রিয়াদের পক্ষে নয়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়