৫ চৈত্র, ১৪৩০ - ১৯ মার্চ, ২০২৪ - 19 March, 2024
amader protidin

মিঠাপুকুরে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠনের পায়তারা!

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
580


মিলনপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:

মিঠাপুকুরে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠনের পায়তারা চলছে মিঠাপুকুরের মিলনপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসায়। নির্বাচিত করা হয়নি দাতা সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে নেই প্রস্তাবক ও সমর্থক, শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে পূরণ করা হয়নি মহিলা কোটা, দির্ঘদিন অনুপস্থিত শিক্ষককে ভোটার করা ও ভোটার তালিকায় নানা অসংগতি থাকার পরও নির্বাচনে প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার হয়নি। পরে মহামান্য আদালতের মাধ্যমে শোকজ নোটিশ করা হলেও আদালতকে অবমাননা করে নির্বাচনে প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান। এ ঘটনায় মিলনপুর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মিলনপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসায় নিয়মিত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় বছর দুয়েক আগে। প্রতিষ্ঠানটি কয়েকদফা চলেছে এডহক কমিটি দিয়ে। প্রায় ৬ মাস আগে নিয়মিত কমিটি গঠনে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও নিজের লোকজন না থাকায় কৌশলে মাদরাসা সুপার ওই কমিটি গঠন করেনি।

সম্প্রতি নিজের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠনের লক্ষে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেন মাদরাসা সুপার। কিন্তু দাতা সদস্য নির্বাচনে ক্ষেত্রে প্রচারণা চালানো হয়নি। এরফলে নির্বাচিত হয়নি দাতা সদস্য। শিক্ষক প্রতিনিধির ক্ষেত্রে এবতেদায়ি শাখার মনোয়ার হোসেন প্রার্থী হলেও তার প্রস্তাবক ও সমর্থকের গরমিল রয়েছে। শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা পূরণ করা হয়নি। দাখিল শাখায় ওসিউজ্জামান নামে একজনকে শিক্ষক হিসেবে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষক হাজিরা খাতায় দু’বছরেও তার নাম দেখা যায়নি। এছাড়াও অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় রয়েছে নানা অসঙ্গতি। এরপরও আগামী ২ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

দাতা সদস্য নির্বাচনে ক্ষেত্রে পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচিত করার নিয়ম থাকলেও তেমনটি হয়নি। একারণে স্থানীয় উমর আলী নামে একজন আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রাজিবুল হাসানকে। কিন্তু তিনি এর কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করে নির্বাচনে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। উমর আলী বলেন, মাদরাসার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন নিয়ননীতি মানা হয়নি। নানা অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা করা হয়নি। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, মাদরাসার কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। তারপরও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ নির্বাচনের প্রস্তুুতি গ্রহন করেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক।

মিলনপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মোকলেছুর রহমান বলেন, অনেকে অভিযোগ করতেই পারে। যদি নিয়মতান্ত্রিক না হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রি-জাইডিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। আমার করার কিছুই নাই।

নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, নানা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো উভয় পক্ষকে বসিয়ে ইউএনও স্যার সমাধান করেছে। তারপর নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়েছে কিনা? প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, অভিযোগের প্রক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়