১৫ চৈত্র, ১৪৩০ - ২৯ মার্চ, ২০২৪ - 29 March, 2024
amader protidin

কিশোরগঞ্জে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হওয়া সেই পরিবারের নামে  চেক ডিজঅনার মামলা

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
38


কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী)প্রতিনিধি:

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সুদে ৫ লাখ ২০ হাজার  টাকা নিয়ে ২২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেও রেহাই পায়নি  মোকলেছার রহমান নামে এক  কৃষক পরিবার। বর্তমানে ওই সুদে কারবারির মিথ্যা মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবারটি। ওই কৃষকের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মধ্য রাজিব চেংমারী গ্রামে। 

 মামলা সুত্রে ও কৃষকের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,  সদর ইউনিয়নের মধ্য রাজিব চেংমারী গ্রামের  মরহুম নজরুল ইসলামের ছেলে মোকলেছার রহমান পারিবারিক কারনে  রনচন্ডি ইউনিয়নের  উত্তর পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সুদে কারবারি মজনুর রহমানের কাছে ২০১৬ সালে  প্রতি হাজারে ৬০ টাকা সুদে ৫ লাখ ২০ হাজার   টাকা  লোন নেয়। সে অনুযায়ী কৃষক মোকলেছার দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সুদে কারবারি মজনুর রহমানকে প্রতিশ্রæতি মতে প্রতি মাসে ৩১ হাজার  ২০০ টাকা সুদ দিয়ে এসেছেন । এমতাবস্থায়  ২০২২ সালে করোনাকালীন সময় কৃষক মোকলেছার তাঁর ব্যবহৃত মাহিন্দ্র ট্রাক্টর   বিক্রি করে ওই সুদকারবারিকে আসল ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে। অবশিষ্ট ২ লাখ   ২০ হাজার  টাকা দেয়ার সময় চাইলে সুদেকারবারি  মোকলেছার ওই কৃষককে কোন সময় দেয়া যাবেনা বলে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এমনকি টাকা দিতে না পারায় তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায় করার হুমকি প্রদান করে সুদে কারবারি মজনুর রহমান। ফলে মোকলেছার সুদে কারবারি মজনুর রহমানের হুমকিতে  বাড়ীতে পরিবার নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পরে। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই কৃষককে উদ্ধার করে এবং সুদে কারবারি মজনুর রহমানকে থানায় ডেঁকে এনে দুপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা করে দেয়। কিন্তু ওই সুদে কারবারি থানার সমঝোতা অম্যন্য করে  চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ১৫ তারিখে  সদলবলে বাড়ীতে এসে কৃষক মোকলেছারের বড় বোন বেলি বেগমের  রুপালী ব্যাংক শাখার হিসাব নম্বর ২২৫৪৫ পাতা নম্বর ৬৯৬৫৭৬ একটি  ফাকা চেকে জোর করে স্বাক্ষর  নেয় বেলির ভাই  মোকলেছারের কাছে ।  এরপূর্বে  গত ২০১৯ সালের  ২রা ফেব্রæয়ারী একই ব্যাংক  শাখার আরো একটি চেকের পাতায় মজনুর ও তার শ্যালক সাজেদুর রহমান মোকলেছারের  স্ত্রী হেলালী বেগমের হিসাব নম্বরের একটি চেকের পাতায় জোড় করে স্বাক্ষর নেয়। যার হিসাব নম্বর ১৭৪৮১ পাতা নম্বর ৩৭৫৫০৬৩  জোর করে চেক ও ফাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়েও থেমে থাকেনি তারা। প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এবং তারা বলে  তাঁর দাবিকৃত টাকা না দিলে চেকের পাতায় নিজ হাতে ইচ্ছেমতো টাকার অংক বসিয়ে মামলা করবো।

কৃষক মোকলেছার রহমান জানায়, সুদে কারবারি মজনুর এলাকায় প্রচার করে আমার স্ত্রী হেলালী বেগমের নামে নীলফামারী কোর্টে একটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেছে মামলা নম্বর সি আর ৯০ তারিখ ৩০-৪-২০২৩।  মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় সুদে কারবারি মজনুর কৃষক মোকলেছারের স্ত্রী হেলালীর কাছে ১২ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে মামলা করেছেন।

এ ব্যাপারে সুদে কারবারি মজনুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেঁটে দেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ  রাজিব কুমার রায় বলেন, মোকলেছার রহমানের পরিবার অবরুদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করে দুপক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করে দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি সুরাহার পরেও সুদে কারবারি মোকলেছারের স্ত্রী হেলালীর নামে কোর্টে মামলা করেছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখোনো মামলার কোন কপি থানায় আসেনি। মামলার কপি পেলে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়