৩ বৈশাখ, ১৪৩১ - ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ - 17 April, 2024
amader protidin

তারাগঞ্জে সড়ক মেরামত কাজে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ

আমাদের প্রতিদিন
11 months ago
266


তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা সদরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের প্রানী সম্পাদ অফিস হয়ে ফেরদৌসের বাড়ি পর্যন্ত পাকা রাস্তা মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনিয়মেই চলছে সড়ক মেরামতের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) প্রদীপ কুমার সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ২২০ মিটার পুরাতন পাকা রাস্তা মেরামতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি জমিচাষ করা গাড়ি দিয়ে চাষ করে  নিম্নমানের ইটের দু এক টুকরো খোয়া দিয়ে রোলার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চলতি বছরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে দেীলতপুরের ফেরদৌসের বাড়ি পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা মেরামত ব্যয়ে ২২০ মিটারের সড়ক মেরামত এর কাজ পান আরশি এন্টারপ্রাইজ নামের রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরে রাস্তাটি চাষ করে রাস্তার পুরাতন খোয়া বের করে অপরিস্কার অবস্থায় এক দু টুকরো নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রোলার করেন। স্থানীয়দের কাছে এমন অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শন করে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের সত্যতা পায় উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার রায়। পরে সেগুলো অপসারনের নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা প্রকৌশলী নির্দেশ না মেনে রাস্তার দুই ধারে কিছু ভালো ইটের খোয়া দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আবারও রোলার করেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার  (২ মে) এলজিইডি রংপুরের একটি টিম এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করার পর কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়ায় কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছেন। স্থানীয়দের মধ্যে আতিকুর রহমান, পাপন দত্ত রায়, আতিয়ার রহমান, হরলায় রায়, মিঠ সরকার, আমেনা বেগমসহ অনেকেই জানান, আরশি এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারির নিকট থেকে রংপুরের মুন্না নামের এক জনৈক ব্যক্তি সড়ক মেরামত নির্মানের কাজটি ক্রয় করে নিয়ে প্রায় এক মাস আগে কাজ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ,পুরাতন কার্পেটিং ভেঙ্গে ফেলার পর ৪ ইঞ্চি নতুন ইটের খোয়া দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা না করে পুরাতন ইটের খোয়ার সাথে শুধুমাত্র ১ ইঞ্চি পরিমান নিম্নমানের ইটের রাবিস দিয়ে সমান করে দেয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, আমরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। যাতায়াতের সময় আমরা দেখেছি নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন বলেন কোন লাভ নেই। ঠিকাদার মুন্নার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। দায়িত্বরত উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর যে দাম ঠিকাদার কাজেই করতে চায় না। কোন রিপোর্ট করার দরকার নেই কাজটা পার হয়ে যাক। উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার রায়ের সাথে আজ (৩ মে) বুধবার মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসের টিম এসে পরিদর্শন ক্রটি পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুনঃরায় মেরামতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রংপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলীর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  

  

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়