১৫ চৈত্র, ১৪৩০ - ২৯ মার্চ, ২০২৪ - 29 March, 2024
amader protidin

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অসাধুপায়ে পরিক্ষা : দেয়াল টপকে দিচ্ছে নকল

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
106


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি সমমানের পরিক্ষায় অবাধে চলছে অনিয়ম। কতিপয় পরীক্ষার্থী অসাধুপায়ে প্রশাসনের নজর এরিয়ে দিচ্ছেন পরিক্ষা। কেন্দ্র এলাকার দেয়াল টপকে পরিক্ষার্থীদের কক্ষে নকল দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রশাসনের দাবী নকল মুক্ত ভাবে এ বছর সুষ্ঠ ভাবে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। কেন্দ্র এলাকায় ভীড় করে নকলের কাগজপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করছেন অভিভাবকসহ অনেকেই।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, চিলমারীতে তিনটি কেন্দ্রে চলমান এসএসসি ও দাখিল পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চিলমারীর থানাহাট এইউ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্রে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রাজারভিটা ইসলামীয় ফাজিল মাদ্রাসায় চলমান এসএসসি  ও দাখিল পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

গতকয়েকদিনে অনুষ্ঠিত পরিক্ষায় দেখা গেছে, চলমান পরিক্ষায় কেন্দ্রের আশপাশে বহিরাগত লোকজনের আনাগো লক্ষণীয়। কেন্দ্র এরিয়ার ভিতরে দেয়াল টপকে ঢুকে নকল সাপ্লাই দিতেও দ্বিধা নেই তাদের। পরিক্ষা শুরুর ঘন্টা খানেক পর থেকে শুরু হয় নকল কক্ষে পৌঁছে দেয়া প্রতিযোগিতা। এদিক সেদিক থেকে বইয়ের পাতা বা সাদা কাগজে হাতে লিখে বাওন্ডারী ওয়াল ভেদ করে জানালা দিয়ে নকল পাঠাচ্ছেন শিক্ষাথীর অভিভাবকরা।

সরেজমিনে পরিক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে গেলে চোখে পড়ে ওঠতি বয়সের ছেলেরা কেন্দ্রের পাশে বসে বই থেকে লিখে নকল দেয়াল টপকে কেন্দ্রে ভিতর সরাসরি দিয়ে আসছে। শুরুর দিন থেকে এমন অবস্থা লক্ষণীয় ছিলো। তারা কেন্দ্র গুলো কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় জটলা করেও থাকতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত প্রশাসনের লোকজন না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা অনেকের।

থানাহাট ইউনিয়নের মমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র এলাকায় পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। যে পরিবেশে পরিক্ষা হচ্ছে এতে বুঝা যাচ্ছে পড়ালেখার মান অনেক খারাপ অবস্থানে চলে গেছে। এখানে বহিরাগত ছেলেদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও নকল কক্ষে পৌঁছে দিতে ওঠে পড়ে লেগেছে। প্রশাসনেরে দায় সাড়া ভূমিকায় চলছে পরিক্ষা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, গেলে কয়েকবারের তুলনায় এ বছর পরিক্ষায় নকল অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আমরা যে সময় পরিক্ষা দিয়েছি সেসময় এত নকলের দৌড়াত্ব ছিলো না। এখন দেখছি পরিক্ষার্থীদের বাবা মা সরবরাহ  করছে এটা সত্যিই দুঃখজনক।

চিলমারী মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি তদন্ত) মুশাহেদ খান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩জন করে তিনটি কেন্দ্রে মোট ৯জন পুলিশ সদস্যকে মোতায়ন করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে আমরা নজরদারি করে যাচ্ছি। এমন পরিবেশ তৈরি হলে প্রয়োজনে আরও পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার নকলমুক্ত পরিক্ষা হচ্ছে। আমরা প্রশাসন সর্বোচ অবস্থানে আছি। অসাধুপায় অবলম্বন করার সুযোগ নেই। তবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কক্ষে নকল পৌছে দিচ্ছে এমন প্রশ্নে  বলেন- আমার জানা নেই ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়