১২ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ - 25 April, 2024
amader protidin

বৃষ্টিতে পন্ড টাইগারদের প্রথম ওয়ানডে

আমাদের প্রতিদিন
11 months ago
141


স্পোর্টস ডেস্ক:

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইরিশ অধিনায়ক আন্ড্রু বালবার্নি। বাংলাদেশ পুরো ইনিংস ব্যাটিং করায় ম্যাচ নিয়ে আশায় ছিল সকলে। তবে বেরসিক বৃষ্টি তা আর হতে দেয়নি। আইরিশরা রান তাড়ায় ১৬ ওভার ৩ বল ব্যাটিং করতেই বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) চেমসফোর্ডের কাউন্ট্রি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৭ রান তাড়া করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও স্টিফেন ডোহেনি। তবে আইরিশদের ওপেনিং জুটি ভাঙতে খুব বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশি বোলারদের।

চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে অফ স্টাম্পের বাইরে শরিফুলের লেন্থ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়াড পয়েন্টে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন স্টার্লিং। বিদায়ের আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান। শরীফুলের দেখাদেখি উইকেট তুলে নেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদও।

নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হাসানের ফুল লেন্থে করা শেষ বলে ব্যাট চালিয়ে বোকা বনে যান অ্যান্ড্রু বার্লর্বিনি। তার ইনসুইং বোলিংয়ে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন ৫ রান করা আইরিশ অধিনায়ক। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডোহেনি ও হ্যারি টেক্টর জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

তবে দলীয় ৬৩ রানের মাথায় তাইজুল ইসলামের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন ডোহেনি। ফলে টেক্টরের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি ভেঙে যায়। বিদায়ের আগে ৩৯ বলে ১৭ রান করেন আইরিশ এই ওপেনার। এরপর উইকেট লোরকার টাকার ক্রিজে আসেন। পরের ওভারে এবাদত হোসেনের বলে টেক্টরের ব্যাটে না লাগলেও রিভিউ নিয়ে হতাশ হন টাইগাররা।

এদিকে আজ টসে হেরে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করে তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। তবে শুরুটা ভালো হয়নি এই দুই টাইগার ওপেনারের। দ্রুতই দুই ওপেনারকে হারায় টাইগাররা। প্রথম ওভারেই জশ লিটলের চতুর্থ বলে এলবি হয়ে শূন্য রানে ফেরেন লিটন দাস। এরপর চতুর্থ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে উইকেটরক্ষক লোরকান টাকারকে ক্যাচ দেন ১৪ রান করা তামিম।

দুই উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা টাইগারকে ম্যাচে ফেরান তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসান ও শান্ত। তাদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় সংগ্রহের পথ দেখছিলেন বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৫২ রানে ভাঙে ৩৭ রানের এই জুটি। উইকেট এসে সাকিব যতটা দারুণ খেলছিলেন, আউট হলেন ততটা বাজে ভাবেই। গ্রাহাম হিউমকে আড়াআড়ি খেলতে যেয়ে লেংথ বলটির নাগাল পাননি মোটেও, বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ২১ বলে ৪টি চারে ২০ রান করেন সাকিব।

এরপর নামজুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে ফিফটিও আসে। তবে দলীয় ১০২ রানে কার্টিস ক্যাম্পারের বলে তুলে মারতে গিয়ে মার্ক অ্যাডায়ারকে ক্যাচ দেন নামজুল হোসেন শান্ত। ৬৬ বলে ৭টি চারে ৪৪ রান করেন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন হৃদয়ও। দুই চারে করেন ৩০ বলে ২৭। হৃদয়ের বিদায়ের পর ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। তারা দুজনে ৬৫ রানের জুটি গড়ে পাল্টা আক্রমণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি থাকতেই ২৭ রান করে আউট হয়ে যান স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ।

সেই বিপর্যয় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি মিরাজ। তারা আশা দিলেও ৬৫ রানে ভাঙে জুটি। মিরাজ ৩৪ বলে চারটি চারের শটে ২৭ রান করে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অন্যপ্রান্তে থাকা মুশফিক দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। ৭০ বলের ইনিংস তিনি সাজান ছয়টি চারের শটে। শেষে তাইজুল ১৪ ও শরিফুল ১৬ রান করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

আইসিসির নিয়ম বলে, কোনো ওয়ানডে ম্যাচের ফল নির্ধারণের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ২০ ওভারের খেলা মাঠে গড়াতে হয়। তবে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে ২১ বল আগেই অর্থাৎ ১৬ ওভার ৩ বলে মাঠে গড়ানোয়, ম্যাচ বৃষ্টি আইন কার্যকর করেননি ম্যাচ রেফারি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়