তারাগঞ্জ চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয় কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে অবরুদ্ধ সভাপতি

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
তারাগঞ্জ চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিভাবক সহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সভাপতিকে ২ ঘন্টা স্থাণীয় চিলাপাক বাজারের একটি চায়ের দোকানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার (১৭ মে) বিকালে উপজলোর সয়ার ইউনিয়নের চিলাপাক বাজারে। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ অবরুদ্ধ সভাপতিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
অভিযোগে জানা গেছে, চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রামাণিক উপজেলার চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের পাঁচটি পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ বানিজ্য করছেন এমন অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এতে করে কমিটির অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব দলাদলি শুরু হয়। গত বুধবার (১৭মে) বিকালে বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় যোগ দিতে এসে সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সংলগ্ন চিলাপাক বাজারে গেলে তাকে তার প্রতিপক্ষরা একটি দোকানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় তারা সভাপতির পদত্যাগের দাবীও জানায়। বিদ্যালয়ের সভাপতিকে অবরুদ্ধ রাখার খবর তারাগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।
চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরফরাজ আলম দুলাল জানান, বুধবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে আসলে স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এব্যাপারে সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী বিদ্যালয়টি ধবংস করার লক্ষে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ এনে আমাকে অবরুদ্ধ কওে রাখেন। শুধু তাই নয় তারা আমাকে এক প্রকার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আমি যেন সভাপতির পদ থেকে সরে যাই।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামকে চিলাপাক বাজারের একটি দোকানে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে সেখানে একদল পুলিশ পাঠিয়ে াদয়ে তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।