নিজস্ব প্রতিবেদক:
নীলফামারীতে সৎ দাদীর হাতে খুন হয়েছে ৪ বছর বয়সী শিশু মোরসালিন। ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার সোনারায় চকদুবলিয়া গ্রামের সুরত আলীর বাড়িতে। এর পরেই কেটে যায় ৩ বছর। এঘটনায় নুরুজ্জামাল বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর পিবিআই পুলিশ তদন্ত করে ও আসামীকে গ্রেফতার করলে সে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পুলিশের এসআই ইকরামুল হক।
পিবিআই পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, ঢাকায় রিক্সাচালক সুরত আলী কুমিল্লার তাসলিমা বেগম (৪৮) কে বিয়ে করেন। তাসলিমা ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করত। তাসলিমা মাঝে মধ্যে নীলফামারীতে আসলে তার সৎ ছেলের পুত্র চার বছর বয়সী মোরসালিন তাসলিমার কাছেই ঘুমাত। এই নৃশংস ঘটনার কয়েক দিন আগে তাসলিমা তার স্বামীর বাড়ি চকদুবলিয়া গ্রামে আসে। ঘটনার দিন ২০২০ সালে আসামী তাসলিমা বেগমের সৎ ছেলে নুরুজ্জামালের স্ত্রী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার ফতেজংপুর এভারগ্রীন কোম্পানীতে চাকরি করার সুবাদে তার শিশু সন্তান মোরসালিনকে তার সৎ শ্বাশুরী তাসলিমার কাছে রেখে চাকরিতে যায় এবং মামলার বাদী শিশুটির পিতা নুরুজ্জামাল(২৮) অটো ভ্যান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে বাহিরে যায়। তারা কাজ শেষে বাড়ীতে ফিরে তার শিশু পুত্রকে মৃত অবস্থায় ঘরের বিছানায় দেখতে পায়। পরে বাড়ীর লোকজন তাছলিমার খোঁজ না পেয়ে নুরুজ্জামাল তাছলিমার বিরুদ্ধে মামলা করে। পিবিআই রংপুর মামলাটি পাওয়ার পর পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পিবিআই রংপুর টিম তাসলিমার খোঁজে নামে এবং দীর্ঘ ০৪ বছর পর আসামী তাসলিমাকে গ্রেফতার করে সে বিজ্ঞ আদালতের নিকট দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। সে জানায় যে, তার স্বামী সুরত আলীর উপর ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে শিশু মোরসালিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।