নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় ১০ দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশী রোগীরা।
অ্যাম্বুলেন্স দুটি এখনও মেরামত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, ২০১১সালে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জন্য জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করে। সেই সাথে একজন চালককে নিয়োগ প্রদান করে।
৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করলেও হাসপাতালটিতে আর কোনো অ্যাম্বুলেন্স চালক সংযুক্ত করা হয়নি। এ দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স চালু থাকলেও চালকের অভাবে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় অনেকদিন ধরেই বিকল রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি। সচল অ্যাম্বুলেন্সটি যান্ত্রিক সমস্যার কারণে গত ১০ দিন ধরে একেবারেই বিকল হয়ে পরে আছে । এ অবস্থায় রোগী ও তাদের অভিভাবকরা পরেছেন বিপাকে।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের আলেকিশামত গ্রামের জব্বার মিয়া (৩০) বলেন, গত মঙ্গলবার আমার এক প্রতিবেশী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের চালককে ফোন দিলে তিনি জানান অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়েছে। পরে ওই রোগীকে অটোতে করে অনেক কষ্টে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার আব্দুল বাতেন (৪৫) জানান, আমার বৃদ্ধ চাচা গত রবিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়। আমরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এসময় রোগীকে দ্রুত রংপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালককে ফোন দিলে তিনি অ্যাম্বুলেন্স বিকল হওয়ার কথা জানান।
পরে বাধ্য হয়ে অনেক বেশী টাকায় মাইক্রো ভাড়া করে নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসিফ ফেরদৌস অ্যাম্বুলেন্স বিকল হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক সপ্তাহ আগেও অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়েছিল তখন ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ভালো করেছি। পুনরায় ভালো করার জন্য গ্যারেজে পাঠিয়েছি।