আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):
রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদানে অভিযুক্ত দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার মেয়র মোঃ সবুজার সিদ্দিক সাগর (নিবন্ধক) ও মোঃ মাহবুবুর রহমান (নিবন্ধন সহকারি) এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসক এর নিকট পত্র প্রেরন এবং নিবন্ধক ও নিবন্ধন সহকারির ইউজার আইডি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সিস্টেম (বিডিআইআরএস) এ স্থগিত করা হয়েছে।
সেই সাথে জনগনের সেবা প্রাপ্তি অব্যাহত রাখার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন চালু রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কোন কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরকে নিবন্ধক ও পৌরসভার সরকারি রাজস্বভুক্ত কোন কর্মচারীকে নিবন্ধন সহকারির দ্বায়িত্ব প্রদান করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ডেপুটি রেজিষ্টার জেনারেল মির্জা তারিক হিকতম স্বাক্ষরিত গত ৪ জুন তারিখের ৪৬.০৪.০০০০.১০৫.৯৯, ০০১, ২০২৪—২০২৫ নং স্মারকের পত্রানুযায়ী বিলম্বে প্রাপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওই পত্রে আরও জানা জায়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ধারা ৪ (১) (খ) মোতাবেক পৌরসভার কোন কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরকে নিবন্ধক এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১৯ (৪) মোতাবেক বিরল পৌরসভার সরকারি রাজস্বভুক্ত কোন কর্মচারীকে নিবন্ধন সহকারির দ্বায়িত্ব প্রদান করে পৌরসভার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার দিনাজপুর এর উপপরিচালক সালাহ উদ্দীন আহমেদ বিরল পৌরসভার মেয়র এর সদয় জ্ঞাতার্থে ও কার্যার্থে বর্নিত পত্রের মর্মানুযায়ী বিরল পৌরসভার কোন কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরকে নিবন্ধক এবং সরকারি রাজস্বভুক্ত কোন কর্মচারীকে নিবন্ধন সহকারির দ্বায়িত্ব প্রদানের নিমিত্তে তাদের জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি, ই—মেইল ও মোবাইল নম্বর ওই কার্যালয়ে প্রেরন করতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদানের সাথে জড়িত বিরল পৌরসভার উদ্যোক্তা বিরল শাকধোয়া গ্রামের মজিবর রহমান এর ছেলে আব্দুর রশিদ ও ১০ নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দে্রর উদ্যোক্তা মহেশশীবপুর গ্রামের অজিত চন্দ্র রায় এর ছেলে সোহেল চন্দ্র রায় এবং রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ পাইয়ে দেওয়ার মুলহোতা বিরল উপজেলার ৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামের সাইদুর রহমান এর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে সাইবার ক্রাইম ইউনিট—ঢাকার একটি দল গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বিরলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
ডিবি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ সে সময় সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ করে দেওয়ার মুলহোতা মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘ দিন থেকে বিরল পৌরসভা ও ১০ নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ হতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কয়েক শতাধিক রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদান করে আসছিল। বর্তমানে আটককৃত ওই ৩ জনই জামিনে মুক্ত হয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরেছে।