কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
এক দফা এক দাবীতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা তিন ঘন্টা বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ করেছে। এসময় কোন রকম যানবাহন চলেনি। দোকানপাট ছিল বন্ধ। প্রায় তিন সহস্রাধিক ছাত্র ছাত্রী অবরোধ স্থানে অবস্থান নেয়। অবরোধের সময় দুবৃর্ত্তরা ইউএনও অফিসসহ বেশ ক’টি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসময় দুবৃর্ত্তদের ইটপাটকেলের আঘাতে চার পুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দুপুর একটার পর উপজেলার দিক থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি বিক্ষোভ মিছিল হাতে লাঠি নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারে আসলে বিভিন্ন দিক থেকে ছাত্র ছাত্রীরা স্লোগান দিতে দিতে ওই বিক্ষোভ মিছিলে যুক্ত হয়ে তিন সহস্রাধিক ছাত্র ছাত্রীর বিক্ষোভে পরিণত হয়। বিক্ষোভটি স্থানীয় শহীদ মিনার থেকে প্রধান বাজারের দিকে স্লোগান দিয়ে যাওয়ার সময় সকল দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে দেখা যায়। বিক্ষোভটি থানার সামনে গিয়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। এসময় থানার বন্ধ গেটের অপর দিকে পুলিশ অবস্থান নিলেও বিক্ষোভে কোন বাঁধা দেয়নি। বিক্ষোভটি পরে কিশোরগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলার দিকে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ভাংচুর করে। উপজেলা পরিষদের গেট বন্ধ দেখে বিক্ষোভটি পানি উন্নয়ন বোর্ড মোড় হতে ফিরে আবারো কিশোরগঞ্জ বাজারের দিকে যায়। উপজেলা পরিষদের বন্ধ গেটের অপর দিকে অবস্থান নেয়া পুলিশদের দেখে আবারো ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয় এবং বিক্ষোভকারী কতিপয় ছাত্র পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে। এসময় ছাত্ররা ওই সকল ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে নিয়ে যায়। পরে বিক্ষোভটি আরও একবার গোটা কিশোরগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ঝর্ণা মোড়ে অবস্থান নেয়। এখানে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয় এবং সড়ক অবরোধ করে ছাত্ররা সেখানে অবস্থান করে। এ বিক্ষোভটি যাওয়ার সময় ছাত্রদের একাংশ স্থানীয় যুবলীগ অফিস ভাংচুর করে। তবে এ বিক্ষোভ চলাকালীন সময় বিভিন্ন অফিসের প্রধান ফটক বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। রাস্তা ছিল যানবাহন শূন্য। এ বিক্ষোভের সময় সাধারণ জনগণের মাঝে আতংক বিরাজ করেছে। এতে জনতাও অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। পরে কিছু দুবৃর্ত্তরা উপজেলা পরিষদের গেট ভেঙ্গে পুলিশদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে বঙ্গবন্ধু মূরালের রেলিং ভাংচুর করে। পরে তারা উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত ইউএনও অফিস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়, মৎস্য অফিস, প্রকৌশলী অফিস, সমাজসেবা অফিস, জনস্বাস্থ্য অফিস, বীজ বিক্রয় কেন্দ্র, বীজ সংরক্ষণাগার, পরিষদ হলরুম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভাংচুর করে এবং আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় পুলিশ বাধাঁ দিলে তাদের দিকে ইটপাটকেল ছুরে মারে দুবৃর্ত্তরা।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন- উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমরা গেটে অবস্থান করছিলাম। দুবৃর্ত্তরা আমাদের হামলা করে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এসময় আমিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।