নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলন, কারফিউ উঠে যাওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিন মঙ্গলবার রংপুর মহানগরীসহ জেলার পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত রয়েছে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন নগরীতে আনন্দ মিছিল করেছে। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির তাদের অফিস উদ্বোধন করেছেন। গণ অধিকার পরিষদ নগরীসহ জেলার বিভিন্নস্থানে মোটর সাইকেল র্যালী করেছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ছাত্ররা অবস্থান নিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করেন। সহিংসতার ঘটনায় একদিনের শতাধিক বন্দি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে রংপুর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। গত সোমবার ও মঙ্গলবার রংপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোথাও দেখা যায়নি। তারা বাড়িতেও অবস্থান করছেন না। তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তারা কোথায় রয়েছে কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতিতে রংপুর মহানগরী ও জেলায় সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈনিক দল ও ছাত্রসহ স্থানীয়রা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় মাঠে পাহারায় রয়েছে বলে জানাগেছে।
মঙ্গলবার খেঁাজ নিয়ে জানাগেছে, মঙ্গলবার রংপুর নগরীসহ জেলাজুড়ে শান্ত পরিস্থিতি ছিল। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্নস্থানে সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল একেবারে কম। তবে নগরীতে রিকশা এবং আটো রিকশার দাপট ছিল। অফিস আদালত খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, আমি নিজে অফিস করছি।
এদিকে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল নিয়েছে এক ব্যবসায়ী। ১৫ বছর পরে নগরীর শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামির অফিস খুলেছে। সংখ্যালঘুদের দুই একটি মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেলেও জেলার সব মন্দিরের নিরাপত্তা দিচ্ছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও ছাত্রসহ স্থানীয়রা।