আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):
বিরলের ধামইর ইউনিয়নে চলমান ছাত্র আন্দোলন ও বিজয় লাভের পর সুযোগ সন্ধানীরা দু’টি পৃথক পৃথক হামলা চালিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পিপল্লা ধুকুরঝাড়ী বাজারে অবস্থিত সমাজ প্রগতি পরিষদ (এসপিপি) এর জমি ও পিপল্লা নতুনপাড়ায় আদিবাসীদের জমি নিজের দাবি করে পৃথক পৃথক হামলা চালানো হয়। হামলায় এসপিপি অফিসের দেয়াল ভাঙ্গা, আম বাগানের গাছ কর্তন ও পিপল্লা নতুনপাড়ায় আদিবাসীদের বসবাসের ঘরের টিনের চালা তুলে ফেলে ব্যাপক লুটপাট এর অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। পিপল্লা নতুনপাড়ায় আদিবাসীদের ২৫—৩০ টি পরিবারের সদস্যরা জানান তাদের বাড়ী—ঘরের জমি নিজেদের দাবি করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ঘরের টিনের চালা তুলে ফেলে ব্যাপক লুটপাট শুরু করেন। আতংকে সকলে দিক বিদিক ছুটোছুটি করলে আদিবাসীদের ঘর—বাড়ী ছেড়ে জায়গা ফাঁকা করে পালানোর হুমকী প্রদান করা হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দার আলী, ধামইর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি লাইছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি আরাফাত হোসেনসহ আরও অনেকে আদিবাসিপাড়ায় উপস্থিত হয়ে সকলের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে, সমাজ প্রগতি পরিষদ (এসপিপি) এর কেয়ারটেকার আরিফ হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড তুলে ফেলে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে কতিপয় ব্যক্তি ভিতরে প্রবেশ করে আমবাগানের গাছ কাটতে থাকে। তিনি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে সমাজ প্রগতি পরিষদ (এসপিপি) এর নির্বাহী পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম অরুকে বিষয়টি অবগত করেন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সুযোগ সন্ধানীরা পালিয়ে যায়। পরে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ এসে কোন প্রকার অরাজকতা বরদাশত করা হবে না এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নেতাকর্মীবৃন্দ সজাগ রয়েছেন বলে জানান।